তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হওয়ার পর ৭ মাস পার না হতেই অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাইছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টই হতে পারে অধিনায়ক হিসেবে শান্তর শেষ ম্যাচ। তবে নতুন অধিনায়ক কে হবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশায় বোর্ড। ক্রিকেট বিষয়ক একটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিসিবি ও জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দুইজনই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে সাকিব আল হাসানের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় শান্তর কাঁধে। তবে তার অধীনে দলের পারফরম্যান্স আহামরি ভালো নয়। পাকিস্তানের মাটিতে দুইটি টেস্ট জয় ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে জায়গা করে নেওয়ার মতো সাফল্য থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হার, ভারত সফরে সবগুলো ম্যাচে বাজেভাবে হারা- এমন দৃষ্টিকটু ব্যর্থতাও রয়েছে।

তবে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শান্তর অফ ফর্ম। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার নেতৃত্বভার নেওয়ার পর থেকে ফর্মে নেই। ব্যাটে নেই রানের দেখা, তার ওপর মাঠের বাইরে শান্তর নানা বক্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে সমালোচনার জোয়ার।

সব মিলিয়ে শান্ত নিজেই ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরে দাঁড়াতে চাচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে তিনি আর জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিতে চান না বলে জানিয়েছেন বিসিবিকে।

এ মুহূর্তে দেশের বাইরে অবস্থান করায় বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে বিসিবির এক কর্মকর্তা এক গণমাধ্যমকে বলেছেন, হ্যাঁ, শান্ত আমাদের জানিয়েছে সে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর আর দলকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত নয়। এদিকে শান্ত বলেছেন, দেখা যাক কি হয়। আমি বোর্ড সভাপতির কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় আছি।

দাবি করা হয়েছে, বিসিবির শীর্ষস্থানীয় এক পরিচালক শান্তকে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য বোঝাচ্ছেন। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নাকি টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন শান্ত। তবে পরে নিজের মত বদলান এবং এখন তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব থেকেই সরে দাঁড়াতে চাইছেন।

শান্ত অধিনায়কত্ব ছাড়লে নতুন অধিনায়ক কে হবেন তা ভাববার বিষয় বটে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শান্তরই দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল। সেই মেগা আসরের আগে টাইগারদের ওয়ানডে সিরিজ আছে একটি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই সিরিজ দিয়েই শুরু হতে পারে নতুন অধিনায়কের পথচলা।

শান্ত অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলে টেস্ট ও ওয়ানডের নেতৃত্ব পেতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে তাওহীদ হৃদয়ের কাঁধে।