
অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। ছবি: সংগৃহীত
২০২২ সালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়েই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মেয়েরা দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিলো। আবারও সেই একই প্রতিপক্ষ এবং একই ভেন্যুতে সাবিনা খাতুনের দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতলো। দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দিয়ে সাফের ফাইনালে তারা নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে।
গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফের মুকুট ধরে রাখার অভিযান সফলভাবে শেষ করেছে বাংলাদেশ। দুই বছর আগে এই একই ভেন্যুতে নেপালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম এই ট্রফির স্বাদ পেয়েছিল তারা।
সেবারও দলের অধিনায়ক ছিলেন সাবিনা খাতুন। এবারও অধিনায়কের আর্মব্যান্ড ছিলো তার বাহুতে। তর্ক-বিতর্ক আর নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাওয়া দলকে আগলে রাখা সাবিনা, সাফল্যের ছোট্ট প্রতিক্রিয়ায় বললেন শুধু গর্বের কথা।
কি বলব? ভালো লাগছে। এছাড়া আর কি বলব? মেয়েরা ভালো খেলেছে বলেই চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। ওদের নিয়ে আমি গর্বিত।
গত আসলে পাদপ্রদীপের আলোয় ছিলেন না তহুরা খাতুন। এবারের আসরে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি, ৫টি। ফাইনালে শুরুতেই একটি শট ক্রসবার না কাঁপালে গোলসংখ্যা বাড়তে পারত, কিন্তু হয়নি। ভারত ও ভুটানের বিপক্ষে দুই ম্যাচে তিনি হয়েছিলেন সেরা খেলোয়াড়।
সেরা খেলোয়াড় কিংবা সর্বোচ্চ গোলদাতা কোনো পুরস্কারই শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি তহুরা। কিন্তু এ নিয়ে কোনো আফসোস নেই তার। দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্যেই তহুরা খুঁজে নিচ্ছেন তৃপ্তি।
শট নিয়েছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রসবারে লেগে ফিরে এলো। নেপালের একটি শটও পোস্টে লেগেছিল। গোল না হলে তো কিছু করার নেই, তবে আমি চেষ্টা করেছে। মনিকা ও ঋতুপর্ণা যে গোল দুটো করেছে, অসাধারণ। এই সাফল্যে সবারই অনেক অবদান ছিলো, সবাই অনেক ভালো করেছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। অনেক ভালো লাগছে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হতে পেরে।
সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া, বা সেরা খেলোয়াড় হওয়া-এসব ইচ্ছা আমার নেই। ঋতু সেরা খেলোয়াড় হয়েছে, এতে আমি ভীষণ খুশি। আমাদের মধ্যে কেউ যদি কোনো পুরস্কার না পেত, আমরা শুধু চ্যাম্পিয়ন হতাম, তাহলেও আমাদের সবাই খুশি হত। তো এ নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই।