
হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল ভারত। ছবি: সংগৃহীত
ঘরের মাঠে দীর্ঘ ২৪ বছর পর টেস্ট ক্রিকেটের হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেয়েছে ভারত। নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ঘরের মাঠে ধবলধোলাই হলো রোহিত-কোহলিরা। সর্বশেষ ২০০০ সালে একমাত্র দল হিসেবে ভারতকে তাদেরই মাটিতে ধবলধোলাই করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেটি ছিলো দুই ম্যাচের সিরিজ। তিন বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচের সিরিজে এবারই প্রথম।
১৪৩ রানে দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ড আজ গতকালের স্কোরের সঙ্গে মাত্র ৩ রান যগ করতে পেরেছিল। ফলে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১৪৭। কিন্তু গতকালই ধারণা করা হয়েছিল, মুম্বাইয়ের এই স্পিনবান্ধব উইকেটে এ রানই অনেক বড় হয়ে উঠবে। সেটাই হলো। ভারত মাত্র ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে আজ।
স্পিন উইকেটে নিকট অতীতে ভারতের দুর্দশার কথা বারবার প্রকাশ পেয়েছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে পেস দিয়ে ঘায়েল করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে স্পিনেই ভারতকে কাবু করেছে নিউজিল্যান্ড। তবু সিরিজের শেষ ম্যাচে স্পিন উইকেটই বানিয়েছে ভারত।
এবং সে উইকেটে ভারতের টপ ও মিডল অর্ডার হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ২৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিক দল।
ঋষভ পন্ত একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন। রবীন্দ জাদেজাকে নিয়ে প্রথমে উইকেটবন্যা থামিয়েছেন। কিন্তু এজাজ প্যাটেলের বলে ক্যাচ দিয়ে জাদেজা (৬) ফিরে গেছেন লাঞ্চের আগেই। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে পন্ত তবু চেষ্টা করে গেছেন। এবং লাঞ্চের আগে জয় থেকে মাত্র ৫৫ রান দূরে ছিল ভারত।
কিন্তু বিরতি থেকে ফিরেই সর্বনাশ। ৫৭ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৬৪ রান করা পন্ত প্যাটেলের পঞ্চম শিকার বনে যান। ১০৬ রানে সপ্তম উইকেট হারায় ভারত। এরপর ওয়াশিংটন সুন্দর ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ওপর ছিল ভারতকে রক্ষা করার ভারত। দুজনে মিলে ৭ ওভারে ১৪ রান এনে একটু আশা জাগিয়েও ছিলেন। কিন্তু গ্লেন ফিলিপসের নিরীহদর্শন স্পিন মুম্বাইয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠল।
অশ্বিন ও আকাশদীপকে টানা দুই বলে ফিরিয়ে দিলেন ফিলিপ্স। পরের ওভারের প্রথম বলেই ফিরলেন সুন্দর। ০ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে ১২১ রানেই থামল ভারত। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১ উইকেট পেয়েছেন প্যাটেল। সর্বশেষ সফরে এই মুম্বাইয়ে ইনিংসে ১০ উইকেট পেয়েও ম্যাচ হারতে হয়েছিল প্যাটেলকে। আর এবার ম্যাচেই ১১ উইকেট পেয়ে শুধু দলকেই জেতালেন না, ভারতকেও দিলেন কখনো না পাওয়া এক লজ্জার স্বাদ।