অস্ট্রেলিয়া ও ভারত ক্রিকেট দল। ছবি: সংগৃহীত
পার্থের পেসবান্ধব উইকেটের পেসাররা দাপট দেখাবে আগেই অনুমেয় ছিল। বরং এমনটা না ঘটলেই হতে অন্য খবর। তবে প্রথম দিনে যা ঘটলো তা হয়ত অনেকেই ভাবতে পারেনি। দুই দলের পেসাররা প্রথম দিনেই পুরো ম্যাচের গতিপথ নাটকীয়ভাবে বদলে দিয়েছেন। হ্যাজেলউড-স্টার্করা যেমন তোপে দাগিয়েছেন ভারতের ওপর, তেমনি বুমরাহ-সিরাজরাও দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন পার্থে।
আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) পার্থে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত সফরকারি ভারত। কিন্তু হ্যাজেলউড-স্টার্ক-কামিন্সদের পেস তোপে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন অভিষিক্ত নীতিশ কুমার রেড্ডি।
ভারতের এমন ধসে পড়া দেখে মনে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া সহজেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে। কিন্তু পাল্টা ঘুরে দাঁড়িয়ে বুমরাহ-সিরাজ-হর্ষিত রানারা মিলে অজিদের সেই আশায় গুড়েবালি দিয়েছে। উল্টো এ ত্রয়ীদের পেস দাপটে ৬৭ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকরা। এতে করে প্রথম দিন শেষে ভারতের চেয়ে এখনো ৮৩ রান পিছিয়ে আছেন প্যাট কামিন্সরা।
১৯৫২ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে প্রথম দিনে সর্বোচ্চ উইকেটের পতনের রেকর্ড এটি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ভারত স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ করতেই হারায় জয়সোয়ালকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। দলীয় সংগ্রহ ৫০ ছাড়ানোর আগেই টপঅর্ডারসহ ৪ জনকে হারিয়ে বসে তারা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। মাঝে সপ্তম উইকেট ৪৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা চালান রিশভ পন্ত ও নীতিশ কুমার রেড্ডি।
কিন্তু দলীয় ১২৭ রানে পন্ত ৩৭ রান করে আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর দ্রুতই বাকি ৩ উইকেট তুলে নেন কামিন্স ও হ্যাজেলউড। তবে বিদায়ের আগে অভিষেক ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস উপহার দেন নীতিশ রেড্ডি। অজিদের হয়ে হ্যাজেলউড ৪টি, স্টার্ক, কামিন্স ও মার্শ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এরপর প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ারও। স্কোরবোর্ডে ১৪ রান যোগ করতেই অভিষিক্ত নাথানকে তুলে নেন বুমরাহ। এরপর দলীয় ১৯ রানে জোড়া আঘাত হানেন বুমরাহ। সেই ধাক্কা সামাল দিতে আর সক্ষম হয়নি অজিরা। স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে অষ্ট্রেলিয়া। দলীয় ৫৯ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে অধিনায়ক কামিন্সকে তুলে নেন ভারতের অধিনায়ক বুমরাহ।
অধিনায়ক বুমরাহ ৪টি, সিরাজ ২টি ও হর্ষিত রানা একটি উইকেট নেন।