সময়টা ভালো যাচ্ছিল না বসুন্ধরা কিংসের। বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা ভুটানের মাটিতে অনুষ্ঠিত এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। তবে ২০২৪-২৫ মৌসুমের শুরুতে পেশাদার লিগের টানা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জ কাপ ট্রফি। ২২ নভেম্বর নিজেদের মাঠ কিংস অ্যারেনায় বসুন্ধরা কিংস ৩-১ গোলে হারিয়েছে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে।

ভুটানের মাটিতে অক্টোবর-নভেম্বরে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে টানা তিন ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস হেরেছে লেবাননের নেজমাহ এফসি, কলকাতা ইস্ট বেঙ্গল আর ভুটানের পারো এফসির কাছে। আত্মবিশ্বাসের তলানিতে থাকা দলটি মোহামেডানের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ কাপের ম্যাচে পিছিয়ে পড়েছিল সোলেমান দিয়াবাতের গোলে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তপু বর্মণ, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম আর মিগুয়েল দামাসেনার গোলে জয় পায় বসুন্ধরা কিংস।

চ্যালেঞ্জ কাপের শিরোপা লড়াইয়ে জয়ী হওয়া পুরো বসুন্ধরা কিংসের জন্যই স্বস্তির। নতুন কোচ ভ্যালেরিও তিতার অধীনে এএফসি প্রতিযোগিতায় ভরাডুবি। চাপে ছিলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মণও। ভুটানে বসুন্ধরা কিংস আর সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে প্রায় ম্যাচেই অবিশ্বাস্য সব ভুল করে দলকে ভুগিয়েছেন। ছিলেন তোপের মুখে। তবে চ্যালেঞ্জ কাপে যেন সব সমালোচনার জবাব দিলেন তপু। সমতাসূচক গোল করেছেন। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছেন। পেয়েছেন চ্যালেঞ্জ কাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।   

৭১ মিনিটে দলের হয়ে সমতাসূচক গোল করেই তপু গ্যালারির দিকে ছুটে যান দুই ঠোঁটের ওপর তর্জনি রেখে। যেন সমালোচকদের চুপ করিয়ে দেওয়ার ইশারাই করেছেন। নিজেও জানিয়েছেন, ‘আমি জানতাম, সাম্প্রতিক সময়ে নিজের সেরাটা দিতে পারছিলাম না। আমাকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল। আমি কিছু ছোটখাটো ভুল করছিলাম, যা দলকে বিপদে ফেলেছে। তবে ফুটবলে এমন হয়। দল কিংবা খেলোয়াড়দের খারাপ সময় যায়। আমি ভুল থেকে সব সময় শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করি। নিজেকে কিভাবে আরো ফিট রাখা যায়, ভালো করা যায়, সেই চিন্তা করি।’  

২০১৯-২০ মৌসুম থেকে বসুন্ধরা কিংসে খেলছেন তপু। সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হয়েও চ্যালেঞ্জ কাপের মতো শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে গোল করা নিয়ে বলেছেন, ‘দেড় বছর পর আমি গোল পেলাম। গোল করা আমার কাজ না। তবে মোহামেডানের বিপক্ষে গোলটা আমার জন্য বিশেষ কিছু। আমার ছেলের জন্মদিন ছিল ১৫ নভেম্বর, গোলটা ছেলেকে উৎসর্গ করতে চাই।’