‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’। তরুণদের প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। এই স্লোগানকে উপজীব্য করে অনুষ্ঠিত হবে ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’।

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তীব্রতায় পতন ঘটেছে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের। চলছে দেশ পুনর্গঠনের কাজ। ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। আসন্ন ‘তারুণ্যের উৎসব’ মূলত দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে জাগানোর প্রয়াস। যার শুরুটা হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেট দিয়ে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে বিপিএলের ১১তম আসর। প্রথমবারের মতো বিপিএলে সংযুক্ত হচ্ছে মাসকট আর থিম সং। মাসকটের নাম ‘ডানা-৩৬’। ক্যালেন্ডারের পাতার ৫ আগস্ট বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে ‘৩৬ জুলাই’ হিসেবে। বিপিএলের মাসকট আর নামে সম্মান জানানো হয়েছে গণমানুষের সংগ্রামী ভাবনাকে।

‘ডানা ৩৬’-এর মাঝখানে একটি পায়রার মুখ। দুই পাশে থাকা ১৮টি করে ৩৬টি রঙিন পালকে ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে ‘৩৬ জুলাই’ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অবিস্মরণীয় স্মৃতি। ‘ডানা’ এখানে স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ‘খেলাধুলা আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে। ভিন্ন ক্ষেত্রে যত মতবিরোধই থাকুক, খেলার ক্ষেত্রে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাই। জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে দেশ পুনর্গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারে এগিয়ে যাওয়াই তারুণ্যের উৎসবের অন্যতম উদ্দেশ্য।’

শুধু মাসকটই নয়, বিপিএলে নানাভাবে স্মরণ করা হবে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, শহীদ মুগ্ধর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে গ্যালারিতে দর্শকদের জন্য থাকবে বিনা মূল্যে পানির ব্যবস্থা। খেলা দেখতে এসে দর্শক অনুদান দিতে পারবে জুলাই ফাউন্ডেশনে। গ্যালারির একটি অংশে থাকবে ‘জিরো ওয়েস্ট জোন’। 

পৃথিবীর যেকোনো ইতিবাচক পরিবর্তনে তারুণ্যের অংশীদারত্ব মূল শর্ত। ‘তারুণ্যের উৎসব’ নতুন বাংলাদেশ গড়ায় প্রতিটি স্বপ্নবাজ, উদ্যমী, অপ্রতিরোধ্য তরুণকে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলেই বিশ্বাস। শুধু বিপিএল আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিসিবি নয়, তারুণ্যের উৎসবে শামিল হচ্ছে সরকারের সাতটি মন্ত্রণালয়। উৎসবের সমাপনী হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলের ফাইনাল দিয়ে।