
ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ছবি: সংগৃহীত
ব্যালন ডি’অর না পাওয়ার আক্ষেপ মিটিয়ে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র নির্বাচিত হয়েছেন ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। ফ্রান্স সাময়িকীর রায়ে বিতর্কিত ব্যালন জয়ী স্প্যানিশ তারকা রদ্রিকে হারিয়েই ফিফা বর্ষসেরা হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
১৭ ডিসেম্বর কাতারের রাজধানী দোহার বিখ্যাত এস্পায়ার একাডেমিতে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে মেয়েদের বিভাগে ফিফা বর্ষসেরা হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে স্প্যানিশ আইতানা বোনমাতির নাম। ব্যালনের পর টানা দ্বিতীয়বার ফিফা বর্ষসেরা হলেন তিনি। সেরা কোচ নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের কার্লো আঞ্চেলত্তি। সেরা গোলরক্ষক আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সেরা গোলের ‘পুসকাস’ পুরস্কার গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আর্জেন্টাইন তারকা আলেজান্দ্রো গার্নাচোর নামের পাশে।
২০২৩-২৪ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে দুর্দান্ত খেলেছেন ভিনি। ৩৯ ম্যাচে ২৪ গোলের পাশাপাশি করেছিলেন ১১টি অ্যাসিস্ট। প্রথম ব্রাজিলীয় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দুটি ফাইনালে গোল করার কীর্তিও আছে। এ ছাড়া সুপারকোপায় বার্সেলোনার বিপক্ষে করেছিলেন গোলের হ্যাটট্রিক। রিয়াল মাদ্রিদের লা লিগা আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ে ভিনি ছিলেন সবচেয়ে উজ্জ্বল।
সম্প্রতি ব্যালন কিংবা ফিফা বর্ষসেরা হয়ে উঠেছিল ব্রাজিলীয়দের জন্য আক্ষেপের নাম। ১৯৯১ সাল থেকে ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার চালু হয়। নানা ফরম্যাটে রোনাল্ডো নাজারিও, রিভালদো, রোনালদিনিও আর কাকা জিতেছেন ফিফা বেস্ট অ্যাওয়ার্ড। কিন্তু ২০০৭ সালে কাকার পর কোনো ব্রাজিলীয়র হাতে ওঠেনি বিশ্বসেরা ফুটবলারের ট্রফি। ভিনি সেই আক্ষেপ মিটিয়েছেন। যদিও ব্রাজিলের হয়ে ভিনির পারফরম্যান্স নিতান্তই সাদামাটা। ২০২৪ সালে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় সেলেসাওরা। আসরে তিন ম্যাচে দুই গোল করেছিলেন ভিনি। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে শেষ আটের ম্যাচটি খেলতে পারেননি তিনি। ব্রাজিল বিদায় নেয় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে।
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি নারী ফুটবলার মার্তা নারী বিভাগে সেরা গোলের পুরস্কার জিতেছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, চলতি বছর থেকেই ফিফা প্রবর্তন করেছে নারীদের সেরা গোলের পুরস্কার। সেটাও মার্তার নামেই! নিজের নামে প্রবর্তিত হওয়া পুরস্কার প্রথমবার জেতার অনন্য নজির গড়লেন নারী ফুটবলের সর্বকালের সেরা তারকা।
ফিফা দ্য বেস্ট নির্বাচন করা হয়েছে চার স্তরের ভোটাভুটিতে। বিশ্বজুড়ে জাতীয় দলের অধিনায়ক, ক্রীড়া সাংবাদিক, কোচ ও সমর্থকরা ভোট দিয়েছেন। ভোট দেন বিশ্বের ১৯৩টি দেশের অধিনায়ক ও ১৯৬ জন জাতীয় দলের কোচ।