আর্টিস্টিক জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস। ছবি: সংগৃহীত
২০২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের হ্যাটট্রিক করেন সিমোন বাইলস। যুক্তরাষ্ট্রের আর্টিস্টিক জিমন্যাস্ট ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে প্রথম অংশগ্রহণে জিতেছিলেন চারটি স্বর্ণ। এ ছাড়া অলিম্পিকে তার রয়েছে দুটি করে রৌপ্য আর তাম্রপদক। সব মিলিয়ে অলিম্পিকের ১১টি পদক গলায় ঝুলিয়ে কিংবদন্তি জিমন্যাস্ট হিসেবে নিজের দাবিনামা পেশ করে রেখেছেন ২৭ বছরের সিমোন।
অলিম্পিক জিমন্যাস্টিকসের ইতিহাসে নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯টি স্বর্ণজয়ের রেকর্ড লারিসা লাতিনিনার। রুশ জিমন্যাস্ট ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত তিনটি অলিম্পিকে অংশ নিয়ে জয় করেছেন মোট ১৮টি পদক। সাতটি স্বর্ণ আর চারটি রৌপ্যসহ ১১টি অলিম্পিক পদকের রেকর্ড রয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রের প্রয়াত জিমন্যাস্ট ভেরা কাস্লাভাস্কার। রোমানিয়ার কিংবদন্তি নাদিয়া কোমানিচি পাঁচটি স্বর্ণসহ অলিম্পিকে ৯টি পদক জিতেছেন। ১৯৭৬ সালে মন্ট্রিয়ল অলিম্পিকে ইতিহাসের প্রথম জিমন্যাস্ট হিসেবে ১০-এ ১০ স্কোর করেন ১৪ বছরের নাদিয়া।
সাম্প্রতিক সময়ে পূর্বসূরিদের সাফল্য ছাপিয়ে সিমোন হাঁটছেন সর্বকালের সেরা হওয়ার পথে। বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে তার রয়েছে ৩০টি পদক। যার মধ্যে ২৩টিই স্বর্ণ। বিশ্ব আর্টিস্টিক জিমন্যাস্ট প্রতিযোগিতায় তিনি ছয়বার করে জিতেছেন ব্যক্তিগত অল অ্যারাউন্ড আর ফ্লোর এক্সারসাইজ স্বর্ণ। সব মিলিয়ে সিমোনকে বলা হচ্ছে ইতিহাসের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট।
২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে দুর্দান্ত সাফল্যের পর ৫৪৬টি হীরা দিয়ে তৈরি লকেট গলায় ঝুলিয়ে আলোচনার জন্ম দেন সিমোন। কারণ সেই লকেট ছিল ছাগল আকৃতির। যেন বুঝিয়ে দিলেন তিনিই ‘এঙঅঞ’, অর্থাৎ সর্বকালের সেরা। ঘটনার ব্যাখ্যায় সিমোন বলেছিলেন, ‘আমি ঠিক করে রেখেছিলাম, সব কিছু ভালো হলে আমি এই গোট নেকলেস পরব। জানি এটা নিয়ে চর্চা হবে। কিন্তু এটা চর্চা হওয়ার মতোই।’
৩ জানুয়ারি বিখ্যাত স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড ম্যাগাজিন সিমোনকে ২০২৪ সালের সেরা স্পোর্টস পারসোনালিটি নির্বাচিত করেছে।