
রাচিন রবীন্দ্রকে ফেরানোর পর লঙ্কানদের উদ্যাপন। ছবি: সংগৃহীত
প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ আগেই নিজেদের করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। শেষ ম্যাচে জিতলে ৩-০ ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করত কিউইরা। তবে অকল্যান্ডে উল্টো বড় ব্যবধানে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। সেই হার ১৪০ রানের।
২৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১৫০ রানে। খেলতে পেরেছে ২৯.৪ বল। মার্ক চাপম্যান (৮১) ছাড়া টপ অর্ডারদের আর কেউ দাঁড়াতেই পারেননি লঙ্কানদের সামনে। ৭৭ রানে হারিয়ে বসে ৭ উইকেট।
কিউইদের ব্যাটিং লাইন আপ ধসিয়ে দিয়েছেন আশিথা ফার্নান্দো, মহীশ তিকশানা ও ঈশান মালিঙ্গা। তিন জনই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। লেজের ব্যাটারদের সঙ্গে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের হারের ব্যবধান যা একটু কমান শেষ উইকেট হিসেবে ফেরা চাপম্যান।
হারলেও অবশ্য ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাটিতে এ নিয়ে টানা ৮টি ওয়ানডে সিরিজ জিতল তারা। ব্ল্যাক ক্যাপরা সবশেষ হেরেছিল ২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে। ২০২০ সাল থেকে ঘরের মাটিতে কিউইরা ২০ ওয়ানডেতে জিতেছে ১৬ ম্যাচ, হেরেছে ২টি, ফল হয়নি ২টি।
২০২০ সালের পর ওয়ানডেতে নিজেদের মাটিতে এটি দ্বিতীয় হার নিউজিল্যান্ডের। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হার। আগেরটি ২০০৭ সালে ১৮৯ রানে, অকল্যান্ডেই। আর লঙ্কানরা নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে জিতল ৯ বছর পর। আগের জয়টি ছিল ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে, নেলসনে। সেই ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা।
আজ হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নেমে দারুণ শুরু পায় লঙ্কানরা। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে করে ২৯০ রান। আহত অবসর হয়ে মাঠ ছাড়া ওপেনার পাতুম নিশানকা করেন ৪২ বলে ৬৬ রান। উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে আস ৪৮ বলে ৫৪ রান। জানিথ লিয়ানাগে করেন ৫৩ ও কামিন্দু মেন্ডিস ৪৬। কিউইদের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন ম্যাট হেনরি।