অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তিনবারের ফাইনালিস্ট দানিল মেদভেদেভ। গত বছরও খেলেছেন ফাইনাল। এবারও সেই লক্ষ্যে এসে শুরুতেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন তিনি। ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে মেলবোর্নে আসা থাইল্যান্ডের কাসিদিত সামরেজকে হারাতেই যে ঘাম ছুটেছে মেদভেদেভর!

শেষ পর্যন্ত পাঁচ সেটেরে থ্রিলার জিতে রুশ তারকা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ড পার হয়েছেন বটে, তবে যা করেছেন সেটি বিস্মিত করেছে সবাইকে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ক্যামেরা ভেঙেছেন মেদভেদেভ। তৃতীয় সেটে পেছনে পড়ে যাওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে নেটের মাঝে থাকা ক্যামেরাতে নিজের র‌্যাকেট দিয়ে আঘাত করেন তিনি। 

রড লেভার অ্যারেনায় আজ নিজের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় জয়ের আশায় জাগিয়েছিলেন সামরেজ। বিশ্বের ৪১৮তম বাছাই প্রথম সেট হারলেও জিতে নেন পরের দুই সেট। তাতেই রেগে যান মেদভেদেভ। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে হারের সামনেই যে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি! তবে শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়ান ২৮ বছর বয়সী তারকা। জিতে নেন শেষ দুই সেট। মেদভেদেভ দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছেন ৬-২, ৪-৬, ৩-৬, ৬-১, ৬-২ গেমে জিতে।

বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামের লড়াইয়ের শুরুতেই অঘটন ঘটাতে বসাতে সামরেজ আগে কখনো কোনো এটিপি ট্যুর ইভেন্টেই খেলেননি। আজ তাঁকে শুধু মেদভেদেভের বিপক্ষে নয়, লড়তে হয়েছে শারীরিক সমস্যার সঙ্গেও। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লড়াইয়ে ফেরেন মেদভেদেভ। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পঞ্চম বাছাই তারকা। 

মেলবোর্নের হার্ড কোর্টে অবশ্য পাঁচ সেট লড়াই নতুন নয় মেদভেদেভের কাছে। গত বছরের ফাইনালে ইয়ানিক সিনারের বিপক্ষে প্রথম দুই সেট এগিয়ে গিয়েও হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বিসর্জন দেন তিনি। তবে এবার শুরুতেই পরীক্ষা দিলেও শেষ পর্যন্ত জিতে মজাও করেছেন মেদভেদেভ। অন-কোর্ট ইন্টারভিউতে বলেন, ‘আমি জানি, যখন বেশি টেনিস খেলি তখনই আমি ভালো খেলি। সুতরাং, কেন আমি ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট খেলব?’

মেদভেদেভ এই কথা বলছেন কারণ, অখ্যাত সামরেজকে হারাতে তাঁর যে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে! কোর্টে ক্যামেরা ভাঙার মতোন কাজ এর আগেও করেছিলেন তিনি।