
আল হিলালের জার্সিতে নেইমার। ছবি: সংগৃহীত
সান্তোস নাকি ইন্টার মায়ামি—কোথায় যেতে পারেন নেইমার জুনিয়র? ব্রাজিলের ফুটবল যুবরাজকে ঘিরে আপাতত সেই জল্পনাই চলছে ফুটবল বিশ্বে। তাঁর সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে এই দুই ক্লাবের নাম।
একের পর এক চোটে ক্যারিয়ারে লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে নেইমারকে। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে ইউরোপের ফুটবলে এলেও লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতোন ব্যক্তিগত তেমন অর্জন নেই তাঁর ঝুলিতে। অথচ তিন জনের নাম উচ্চারিত হতো একসঙ্গেই।
নেইমারের পেশাদারি ক্যারিয়ার শুরু সান্তোসে। ২০০৩ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির সঙ্গে শৈশব কাটিয়েছেন তিনি। মূল দলে অভিষেক ২০০৯ সালে। সেখানে আলো ছড়িয়ে ২০১৩ সালে যোগ দেন বার্সেলোনায়। ক্যাম্প ন্যুয়ে নেইমার সতীর্থ হিসেবে পান মেসিকে। দুজনের সম্পর্কটা বেশ দারুণ।
সেই কারণে হয়তো তৃতীয়বারের মতো মেসির সঙ্গে জুটি বাধতে মায়ামিতে যেতে পারেন নেইমার। ফুটবলারদের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ট্রান্সফার মার্কেট তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত অক্টোবরে নেইমার মায়ামিতে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ইউরোর সম্পত্তি কেনেন। এরপর থেকে গুঞ্জন চলছে, ৩২ বছর বয়সী তারকা ডেভিড বেকহামের সহ-মালিকানাধীন ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে আবারও জুটি গড়তে যাচ্ছেন মেসি ও লুইস সুয়ারেসের সঙ্গে। এই তিন জন একসঙ্গে বেশ কয়েক বছর ছিলেন বার্সায়। সেই গুঞ্জন যদি সত্যি হয় তবে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগ (এমএলএস) দেখা যেতে পারে আক্রমণভাগের বিখ্যাত ‘এমএসএন’ জুটিকে আবারও।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম মিরর’ও তেমন ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে। সম্প্রতি সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও দুই বন্ধুর সঙ্গে পুনর্মিলনের ইঙ্গিত দিয়েছেন নেইমার, ‘নিঃসন্দেহে মেসি ও সুয়ারেসের সঙ্গে খেলা অসাধারণ। তারা আমার বন্ধু, আমরা এখনো একে অপরের সঙ্গে কথা বলি। এই ত্রয়ীর যদি পুনর্জাগরণ হয় তবে সেটি খুবই মজাদার হবে।’
কিন্তু সান্তোসও যে চায় নেইমারকে! ট্রান্সফার মার্কেটই জানাচ্ছে, ব্রাজিলিয়ান তারকা নিজ দেশে ফিরতে চান। ৬ মাসের জন্য ধারে সাও পাওলোর ক্লাবটিতে যেতে পারেন তিনি। আল হিলালের সঙ্গে নেইমারের চুক্তি আছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। ব্রাজিলিয়ান তারকার সঙ্গে যদিও সৌদির ক্লাবটির চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ, যে আশায় তারা নেইমারকে কিনেছিল সেটি পূরণ হয়নি।
২০২৩ সালে ভাঙে ’পিএসজি প্রজেক্ট’। ইউরোপের ফুটবল ছাড়েন মেসি ও নেইমার। মেসি চলে যান মায়ামিতে। নেইমার সৌদিতে। বড় অঙ্কের অর্থে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে দলে নেয় আল হিলাল। কিন্তু দুই মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে নেইমার মাঠে নামতে পেরেছেন মাত্র ৭ ম্যাচ! ১ বছর পর গত অক্টোবরে ফিরলেও এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে ২ ম্যাচ খেলে গোড়ালির চোটে পড়ে আবারও মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাঁকে। এখনও বাইরেই আছেন।
ম্যাচ না খেললেও আল হিলাল থেকে চুক্তি অনুযায়ী বড় অঙ্কের অর্থ পাচ্ছেন নেইমার। যে কারণে এমন ‘মরা হাতি’কে আর না রাখার সম্ভাবনায় বেশি সৌদি ক্লাবটির। একই কারণে ইউরোপিয়ান কোনো ক্লাবও নেইমারের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে না আগের মতো। অথচ ২০১৭ সালে ট্রান্সফারের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে বার্সা ছেড়ে পিএসজি গিয়েছিলেন নেইমার।