
জয়ের পর জোকোভিচের উদ্যাপন। ছবি: সংগৃহীত
ম্যাচ পয়েন্ট নিশ্চিত হতেই নোভাক জোকোভিচ দুই হাত মুষ্টি পাকিয়ে গর্জন করলেন। এই গর্জন যেন সার্বিয়ান তারকাকে ব্যঙ্গ করা সেই অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিকের উদ্দেশেও। এরপর ডাগআউটে গিয়ে কোচ অ্যান্ডি মারের সঙ্গে হাত মেলালেন।
এতক্ষণ দুজনের বুকের ওপর যে চাপ ছিল সেটি নেমে গেল নিমিষেই। একটু আগে কার্লোস আলকারাসের সঙ্গে কী জমজমাট লড়াই না হলো জোকোভিচের! প্রথম সেটে পিছিয়ে পড়েও কী অসাধারণ প্রত্যাবর্তনে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালেও নিশ্চিত করেছেন ৩৭ বছর বয়সী তারকা।
৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের লড়াই জোকোভিচ জিতেছেন ৪-৬, ৬-৪, ৬-৩, ৬-৪ গেমে। শেষ তিন সেটে যেন আলকারাসকে মানসিকভাবে ভেঙে ফেলেন তিনি। একেকটি গেম জেতার পর উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন মেলবোর্নের দর্শকদের। বয়স হয়ে গেলেও এখনো যে জয়ের ক্ষুধা মরেনি তাঁর, সেটিই প্রমাণ করলেন আবারও।
চোট থাকলেও তৃতীয় সেটের ব্রেক পয়েন্টের জন্য আজ রড লেভার অ্যারেনার হার্ডকোর্টে গড়াগড়ি খেয়েছেন জোকোভিচ। যেন বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী’। আলকারাসকেও কি তিনি মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়াননি?
ম্যাচটা জোকোভিচের সঙ্গে আলকারাসের বলেই টেনিস বিশ্বের সব চোখ ছিল মেলবোর্নের দিকে। দুই প্রজেন্মর দুই তারকার ম্যাচ বলে কথা। শেষ পর্যন্ত ১৬ বছরের ছোট আলকারাসের বিপক্ষে ৪ সেটেই ম্যাচ মীমাংসা করে নিলেন ২৫তম গ্র্যান্ড স্লামের আশায় থাকা জোকোভিচ। ২৪ জানুয়ারি শেষ চারে জার্মানির আলেক্সান্দর জভরেভের মুখোমুখি হবেন ৭ নম্বর বাছাই।