
আজকেও ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন তানজিদ। ছবি: ফেসবুক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম আট সংস্করণের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ছয় মারার সব রেকর্ড ছিল বিদেশিদের দখলে। তার মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল তিন সংস্করণে মেরেছেন সবচেয়ে বেশি ছক্কা। তবে গত মৌসুমে এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে।
বিপিএলের এক সংস্করণে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার তালিকায় সবার ওপরে ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে ২০২৩-২৪ মৌসুমে ১৪ ইনিংসে ২৪ ছক্কা আসে এই ডানহাতি ব্যাটারের ব্যাট থেকে।
হৃদয়ের সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। চলতি বিপিএলে ১০ ইনিংসে ২৯টি ছক্কা মেরেছেন ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটার। যা বিপিএলের এক আসরে কোনো বাংলাদেশির বেশি ছয় মারার রেকর্ডও।
আজ চট্টগ্রামে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ৫৪ বলে অপরাজিত ৯০ রানের ইনিংস খেলার পথে ৭টি ছয় মেরেছেন তানজিদ। তাঁর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১১ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জিতেছে ঢাকা ক্যাপিটাল। এই জয়ে প্লে অফে খেলার আশাও বাঁচিয়ে রাখল ঢালিউডের ‘কিং খান’ শাকিব খানের দল।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চিটাগং ৬ উইকেটে করে ১৪৮ রান। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ওপেনার নাঈম ইসলাম। তবে তার জন্য খেলেছেন ৪৪ বল। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে তেমন বাধার মুখে পড়তে হয়নি ঢাকাকে। লিটন দাসের (২৫) সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে দলকে ৭৫ রান এনে দেন তানজিদ। ঢাকা ২ উইকেটে করে ১৪৯ রান।
প্রথম ছয় ম্যাচে হারলেও গত চার ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে ঢাকা। আজকের জয়ে ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চারেও ওঠে এসেছে তারা। লিগ পর্বের বাকি দুই ম্যাচে জয় ও বাকি দলগুলো হারলে তবেই শেষ চারের টিকিট মিলতে পারে তানজিদ-লিটনদের। আর হারলেও ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে চিটাগং।
তাওহীদের রেকর্ড ভাঙা তানজিদের সামনে এখন আরেকটি কীর্তির হাতছানি। ২০১৭-১৮ বিপিএলে ৪৭টি ছয় মারেন গেইল। যা এক সংস্করণে সর্বোচ্চ। এবার কি সেই রেকর্ড ভাঙতে পারবেন তানজিদ? ঢাকা যদি প্লে অফে যেতে না পারে তবে তানজিদ ম্যাচ পাবেন আর দুটি। গেইলের রেকর্ড ভাঙার জন্য সেই দুই ম্যাচে এই বাঁহাতি ব্যাটারকে মারতে হবে ১৯ ছয়! সম্ভব হবে কি সেটি? সেই প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে ভবিষ্যতে। তার আগে বিপিএলে ছক্কার ফিফটিটাও করে ফেলেছেন তানজিদ।