
হামজা চৌধুরী। ছবি: ফেসবুক/শেফিল্ড ইউনাইটেড
অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হলো। লেস্টার সিটি থেকে ধারে শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিলেন হামজা চৌধুরী। এই মৌসুমের শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাবটিতে থাকবেন ২৭ বছর বয়সী এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
লেস্টারের যুব দলে বেড়ে ওঠা হামজার। ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলেও খেলেছেন তিনি। তবে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের হয়ে। বেশিদিন হয়নি লাল সবুজ জার্সিতে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন তিনি। আগামী মার্চে ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামতে পারেন হামজা।
তার আগে নতুন ঠিকানা গিয়ে খুশি হামজা। শেফিল্ডের ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে এটা চলল (চুক্তির বিষয়), তবে আমি এখানে আসতে পেরে খুশি এবং নিজেকে প্রস্তুত করছি।’
গত মৌসুমে লেস্টারকে প্রিমিয়ার লিগে ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন হামজা। তবে এ মৌসুম ক্লাবটির একাদশে জায়গা পাওয়ায় কঠিন হয়ে পড়েছে তাঁর জন্য। ২০১৫ সালে মূল দলে অভিষেকের পর ফক্সেসদের হয়ে লিগে ৯১ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
এর আগেও বার্টন আলবিয়ন ও ওয়াটফোর্ডে ধারে খেলেছেন হামজা। ২০২২-২৩ মৌসুমে ওয়াটফোর্ডে গিয়ে তিনি কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন ক্রিস উইল্ডারকে। এবার শেফিল্ডে গিয়েও তাঁকে পাবেন হামজা। ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলের সাবেক এই তারকার ব্লেডদের হয়ে অভিষেক হতে পারে আগামী শনিবার ডার্বি কাউন্টির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।
শেফিল্ডে যোগ দিয়ে হামজা আরও বলেছেন, ‘আমি দেখলাম দলটি নিজেকে অবস্থানে রেখেছে এবং আমি এখানে আসতে চেয়েছি দলটিকে সাহায্য করতে। আমি ওয়াটফোর্ডে কয়েক মাস উইল্ডারের সঙ্গে কাজ করেছি। অল্প সময়, তবে সেটা আমি খুব উপভোগ করেছি। তিনি যখন আমাকে এখানে ডাকলেন আমার কাছে শুধু একটাই উত্তর ছিল।’
এই মাসে শেফিল্ডের তৃতীয় চুক্তি হামজা। এর আগ সাউদাম্পটন থেকে ধারে ফরোয়ার্ড বেন ব্রেরেটন ও স্থায়ীভাবে লেস্টার থেকে স্ট্রাইকার টম ক্যাননকে এনেছে ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে আছে শেফিল্ড। লেস্টারের মতো ব্লেডদেরও প্রিমিয়ার লিগে ফেরাতে পারবেন তো হামজা?