-copy-679b05f016fac.jpg)
ইয়ানিক সিনার ও ম্যাডিসন কিস। ছবি: সংগৃহীত
২০২৫ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিসে পুরুষ এবং নারী এককে শিরোপা জিতেছেন ইয়ানিক সিনার আর ম্যাডিসন কিস। বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ে সময়ের আলোচিত দুই টেনিস তারকা লিখেছেন নতুন ইতিহাস।
ইতালীয় সিনারকে বলা হয় ‘ডোপ-সিনার’। ২০২৪ সালে দুইবার ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়েছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়নি তাকে। তবে তা মেনেও নেয়নি ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি ‘ওয়াডা’। তারা আপিল করেছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে। সিনার দাবি করেছেন, ফিজিওর ভুলে স্প্রের মাধ্যমে পেশিবর্ধক ক্লোস্টেবল ঢুকেছিল তার শরীরে। শাস্তি না পেলেও সিনারের নামের পাশে ‘ডোপ’ শব্দটি ঠিকই যোগ হয়ে গেছে।
ডোপিং কেলেঙ্কারির বোঝা মাথায় নিয়ে ভেঙে পড়েননি। নিষেধাজ্ঞার হুমকির মুখেও তিনি অপ্রতিরোধ্য। ২০২৪ সালের জুনে কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচকে হটিয়ে উঠে আসেন এটিপি র্যাংকিংয়ের শীর্ষে। একই বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়ে সিনারের গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের অভিযান শুরু। জিতেছেন ইউএস ওপেন। ২০২৫ সালের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ায় ফের ওড়ালেন বিজয় নিশান।
২৬ জানুয়ারি মেলবোর্নের রড লেভার অ্যারেনার ফাইনালে সিনার হারিয়েছেন জার্মানির অ্যালেক্সান্ডার জাভারেভকে। সিনারই প্রথম ইতালীয় টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে জিতলেন তিনটি গ্র্যান্ডস্ল্যাম ট্রফি। এ ছাড়া একুশ শতকে আন্দ্রে আগাসি, রজার ফেদেরার ও নোভাক জোকোভিচের পর চতুর্থ পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে মেলবোর্নের রাজত্ব ধরে রাখার নজির গড়লেন তিনি। ফাইনালে সিনার জয় পেয়েছেন সরাসরি ৬-৩, ৭-৬ (৭/৪), ৬-৩ গেমে ।
সিনার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতেছেন ফেভারিট হিসেবে। কিন্তু নারী এককে মার্কিন তারকা ম্যাডিসন কিসের ‘বাজিমাৎ’ বিস্ময়কর। ফাইনালে তার প্রতিপক্ষ ছিল নম্বর ওয়ান আরিনা সাবালেঙ্কা। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন তিনি। অন্যদিকে কিস ২০১৭ সালে ইউএস ওপেনে ক্যারিয়ারের একমাত্র ফাইনাল খেলে হেরেছিলেন স্লোয়ান স্টিফেনসের কাছে। মেলবোর্নেও ছিলেন ১৯তম বাছাই। অথচ সেই কিস সেমিফাইনালের লড়াইয়ে হারিয়েছেন দ্বিতীয় বাছাই ইগা সিওনতেককে। ফাইনালে তার শিকার হয়েছেন বেলারুশের সাবালেঙ্কা। ২০০৫ আসরে সেরেনা উইলিয়ামসের পর অস্ট্রেলীয় ওপেনে শীর্ষ দুই খেলোয়াড়কে হারানোর কীর্তি গড়েন কিস। হ্যাটট্রিক অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের অপেক্ষায় থাকা সাবালেঙ্কার বিপক্ষে কিস জিতেছেন ৬-৩, ২-৬, ৭-৫ গেমে।
১৯৯৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জন্ম কিসের। ২৯ বছর ৩৪৩ দিন বয়সে তিনি জিতেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম। তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ী নারী খেলোয়াড়। তবে সবচেয়ে বেশি বয়সে নারীদের একক গ্র্যান্ডস্ল্যাম শিরোপা জয়ের রেকর্ড ইতালির সাবেক তারকা ফ্লাভেতা পান্নেতার দখলে। ২০১৫ সালে ৩৩ বছর ১৯৯ দিন বয়সে পান্নেতা জিতেছিলেন ইউএস ওপেন। ২৯ বছর ৩৪৬ দিন বয়সে ২০১০ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছেন ইতালিরই ফ্রান্সিস্কা স্কিয়াভনি। উইম্বলডনের নারী এককে ১৯৯৮ সালে হানা নভোৎনা ১৯৯৮ সালে শিরোপা জিতেছিলেন ২৯ বছর ২৭৫ দিনে।