ক্রিস গেইলকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে ব্যাট হাতে তা-ব চালিয়ে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করেছেন বহুবার। দলের প্রয়োজনে বলে হাত ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন নিজের ক্যারিশমা। তিনি ক্রিকেটের ‘ইউনিভার্সেল বস’।

১৯ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। হাইব্রিড মডেলের মিনি বিশ্বকাপ নামে পরিচিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলা হবে পাকিস্তান আর সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আট দলের প্রতিযোগিতায় নেই ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৯৮ ও ২০০৬ সালের আসরে ফাইনালে খেলা ক্যারিবীয়রা বর্তমানে ক্রিকেটের পড়ন্ত শক্তি। নিশ্চিতভাবেই দুটি করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় মিস করবে সবাই। আর মিস করবে একজন ব্যাটিং জিনিয়াস ক্রিস গেইলকে।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ক্রিস গেইল ১৭ ম্যাচ খেলে করেছেন ৭৯১ রান, যা টুর্নামেন্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ। ২২ ম্যাচে ৭৪২ রান করা শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে আছেন দুইয়ে। প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি পাঁচটি ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ পুরস্কার পেয়েছেন গেইল। তিনবার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়ার রেকর্ড আছে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিং আর দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিসের।

২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ক্রিস গেইলের ব্যাট থেকে আসে ৪৭৪ রান, যা এক আসরে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই তিনটি সেঞ্চুরিতে গেইল যৌথভাবে শীর্ষস্থান দখল করে আছেন সৌরভ গাঙ্গুলি, শিখর ধাওয়ান, হার্শেল গিবসের সঙ্গে। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গেইলের চারটি হাফ সেঞ্চুরিও আছে। ২০০২ থেকে ২০১৩ সালা পর্যন্ত পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা গেইল ছক্কা মেরেছেন ১৫টি, যা ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাউন্ডারির সেঞ্চুরি (১০১টি) হাঁকানো একমাত্র ক্রিকেটার গেইল। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি ২৮ উইকেটের মালিক নিউজিল্যান্ড পেসার কাইল মিলস। কিন্তু জানেন কি, ক্রিস গেইলও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ১৭টি উইকেটের মালিক!