Logo
×

Follow Us

খেলাধুলা

টানা আইসিসি টুর্নামেন্ট জয়ে ভারতীয় নজির

Icon

আফসার হোসেন

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:০০

টানা আইসিসি টুর্নামেন্ট জয়ে ভারতীয় নজির

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা ভারতের ঘরে। ছবি: সংগৃহীত

‘হট ফেভারিট’ ভারতের ঘরে গেছে ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা। ৯ ফেব্রুয়ারি দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ফাইনালে ভারত ৪ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথ আর ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের উল্লাসে মেতেছিল ভারত।

নবম আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত ছিল অপ্রতিরোধ্য। ‘এ’ গ্রুপে ভারতের কাছে হার মানে বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর নিউজিল্যান্ড। সেমিফাইনালেও ভারতের সামনে নতি স্বীকার করে অস্ট্রেলিয়া। সর্বোচ্চ ২৬৩ রান করা রাচিন রবীন্দ্র নির্বাচিত হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়। ১০ উইকেট পাওয়া কিউই পেসার ম্যাট হেনরি হন সেরা বোলার। তবে ভারত দলগত নৈপুণ্যে টেক্কা দিয়েছে সবাইকে। শ্রেয়াস আইয়ার ২৪৩ রান নিয়ে ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ২১৮ রান করা বিরাট কোহলি আছেন সেরা পাঁচে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯টি উইকেটের মালিক বরুণ চক্রবর্তী আর মোহাম্মদ শামি। আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ১০ উইকেট পাওয়া শামি গড়েছেন নতুন নজির। শামি ক্যারিয়ারে খেলেছেন ২০২১ আর ২০২৩ সালের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল। দুটি ওয়ানডে আর একটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ৯ উইকেট পাওয়া মিচেল স্টার্ককে পেছনে ফেলেছেন শামি। নবম চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ৮৩ বলে ৭৬ রান করা ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত পেয়েছেন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।    

বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মা ভারতের পক্ষে ৯টি আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে মাঠে নেমে গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। এ ছাড়া ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের মাধ্যমে পুরুষদের ক্রিকেটে টানা দুটি আইসিসি টুর্নামেন্ট জিতল টিম ইন্ডিয়া।  

ভারত ক্রিকেটের পরাশক্তি। গভীর ব্যাটিং লাইনআপ, বোলিং বৈচিত্র্যে ভারতের জুড়ি মেলা ভার। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের শিরোপা জয় কোনো অঘটন না। তবু ভারতের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। আসলে ক্রিকেট বিশ্বে বর্তমানে চলছে ভারতের একক দাদাগিরি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ‘বিসিসিআই’ বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রিকেট সংস্থা হিসেবে ছড়ি ঘোরাচ্ছে খোদ আইসিসির ওপর। সদ্যঃসমাপ্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত খেলতে যায়নি মূল স্বাগতিক পাকিস্তানে। ভারতের মন রাখতে আইসিসিকে নিরপেক্ষ স্বাগতিক হিসেবে বেছে নিতে হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভারত খেলেছে দুবাইয়ের স্টেডিয়ামে। যেখানে ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডকে ভ্রমণ করতে হয়েছে ৭০৪৮ কিলোমিটার। অস্ট্রেলিয়াকে ২৫০৯ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ভারতের বিপক্ষে সেমিতে খেলতে পৌঁছুতে হয়েছে দুবাই। ভারতের সামনে অসহায় স্বাগতিক পাকিস্তানকেও ভ্রমণ করতে হয়েছে ৩১৩৩ কিলোমিটার। আর ভারত? এক শহরে বসেই আরাম করে কাটিয়ে দিয়েছে পুরো টুর্নামেন্ট! পরিচিত হয়ে যাওয়া কন্ডিশনের সুযোগ পুরো নিয়েছে ‘মেন ইন ব্লু’রা। একই মাঠে, একই পরিবেশে খেলার ফলে ভারতকে নিজেদের জয়ের ফর্মুলাতেও বিশেষ বদল আনতে হয়নি।

ক্রিকেটপ্রেমীরা মনে করেন, আইসিসির নতজানু মানসিকতা ভারতকে দুর্বিনীত করে তুলছে। দল হিসেবে সামর্থ্যবান হওয়া সত্ত্বেও অনৈতিকতার আশ্রয়ে ভারতীয় দল নিজেদের বিতর্কিত করছে। এর আগে এশিয়া কাপেও ভারতের চাপে এসিসি বাধ্য হয়েছে হাইব্রিড মডেলের টুর্নামেন্ট আয়োজনে, যা ‘জেন্টলম্যান গেম’ হিসেবে পরিচিত ক্রিকেটের ভাবমূর্তির পরিপন্থি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫