Logo
×

Follow Us

খেলাধুলা

ক্রিকেটার হতে গেলে একাডেমিও হতে পারে ভরসা

Icon

ইয়াসির আমান

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৯

ক্রিকেটার হতে গেলে একাডেমিও হতে পারে ভরসা

প্রতীকী ছবি

একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে বিশ্ব ক্রিকেটে একটু একটু করে সাফল্য আসতে থাকে বাংলাদেশ দলের। যার ফলে দেশের প্রতিটি কোণে ক্রিকেট উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সে উন্মাদনা বেড়েছে বৈ কমেনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিশোর ও তরুণেরা ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নিতে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তারা স্বপ্ন দেখে একদিন মস্ত বড় ক্রিকেটার হওয়ার। ভালো ক্রিকেটার হতে পারলে খ্যাতির সঙ্গে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত। তাই এখন অভিভাবকরাও চান সন্তান ক্রিকেটার হয়ে উঠুক। ভালো ক্রিকেটার হতে গেলে চাই সঠিক গাইডলাইন। তার জন্য কিশোর ও তরুণদের পাশাপাশি অভিভাবকদের প্রথম পছন্দ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। এখান থেকেই সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমের মতো ক্রিকেটাররা তৈরি হয়েছেন।

বিকেএসপিতে ভর্তি হতে পারলে ভালো একটি গাইডলাইন পাওয়া যায়। কিন্তু আসনসংখ্যা সীমিত থাকায় সবার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি হওয়া সম্ভব হয় না। বিকেএসপিতে ভর্তি হতে না পারলে যে পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে, বিষয়টি মোটেই এমন নয়। দেশের জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে এমন অনেক একাডেমি রয়েছে, যেগুলো থেকে ভালো প্রশিক্ষণ পওয়া এবং পেশাদার ক্রিকেটার হওয়া সম্ভব। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে প্রায় তিন শ ব্যক্তিগত একাডেমি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে ঢাকা শহরেই আছে প্রায় একশ একাডেমি। চলুন আজ ঢাকা ও ঢাকার বাইরের কিছু একাডেমির পরিচিতি ও খরচ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ঢাকা: ঢাকা যেহেতু রাজধানী শহর, ফলে এখানে মানসম্পন্ন একাডেমির সংখ্যা বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এখানে উল্লেখযোগ্য একাডেমিগুলোর মধ্যে রয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, আবাহনী, কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি, গুলশান ইয়ুথ ক্লাব, সিটি ক্লাব ইত্যাদি।  

চট্টগ্রাম: ক্রিকেটের আঁতুড়ঘর খ্যাত চট্টগ্রাম জেলা শহরের মধ্যে ব্রাদার্স ইউনিয়ন একাডেমি, চট্টগ্রাম পোর্ট সিটি একাডেমি ও ইস্পাহানি ক্রিকেট একাডেমি উল্লেখযোগ্য। 

সিলেট; সিলেট জেলার রাগীব-রাবেয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস একাডেমি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। সেখানে মানসম্পন্ন কোচ দ্বারা খেলোয়াড় তৈরি করা হয়। ২০১৪ সালে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী রাগীবনগরে একাডেমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী: সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহী বিভাগ থেকে অনেক ক্রিকেটার উঠে আসছে। এর পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে ক্লেমন রাজশাহী ও বাংলা ট্র্যাক একাডেমি। 

একাডেমিতে যেমন খরচ হয়: একাডেমিগুলোতে সাধারণত ৮ থেকে ২০ বছর বয়সী খেলোয়াড়েরা অনুশীলন করে থাকে। এসব একাডেমিতে সংখ্যার দিক থেকে ছেলেদের অংশগ্রহণ বেশি হলেও অতি সম্প্রতি মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। তবে সেটি মোট খেলোয়াড়ের ৫ শতাংশের বেশি হবে না। একাডেমিগুলোতে ভর্তি হতে সাধারণত খরচ হয় এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা। মাসে দিতে হয় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। দরিদ্র পরিবার থেকে আসা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে অনেকে একাডেমি ছাড় দিয়ে থাকে। 

পেশাদার ক্রিকেটার হতে গেলে ভালো প্রশিক্ষণ যেমন দরকার, তেমনি নিজের ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনেরও প্রয়োজন, যাতে জাতীয় পর্যায়ের পেশাদার ক্রিকেট লীগের টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচের নজরে পড়া যায়। এর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট জাতীয় দলের পাইপলাইন হিসেবে বিবেচিত হয়। ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে অনূর্ধ্ব ১৫, ১৭ ও ১৯ দল আছে। জেলা দলের হয়ে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট খেললে বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়। এই বয়সভিত্তিক দলগুলোতে খেলোয়াড় সাপ্লাইয়ের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো জেলা ও বিভাগীয় শহরভিত্তিক একাডেমিগুলো। যদি কেউ পেশাদার ক্রিকেটার হতে চায়, বিকেএসপিতে সুযোগ না পেলে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। একাডেমিগুলো থেকেও উঠে আসা সম্ভব প্রতিভা ও পরিশ্রম থাকলে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫