
আসিফ-সোনিয়া দম্পতি। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
বাংলাদেশের সাঁতার অঙ্গনে ‘স্বর্ণময় দম্পতি’ হিসেবে পরিচিত আসিফ রেজা আর সোনিয়া আক্তার টুম্পা। ২০২৩ সালে ৩৩তম জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় সোনিয়া ও আসিফ জিতেছেন ১১টি করে স্বর্ণপদক। আসিফ সাঁতারে আসেন ২০০২ সালে আর সোনিয়া ২০০৩ সালে। কুষ্টিয়ার ছেলে আসিফের সঙ্গে ঝিনাইদহের মেয়ে সোনিয়ার প্রথম দেখা ২০০৪ সালে বগুড়ায় অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা চলাকালে। তবে ভালো লাগা আর ভালোবাসা ২০০৫ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ভর্তি হওয়ার পর। তারা সংসার জীবনে গাঁটছড়া বাঁধেন ২০২১ সালে।
সাঁতারে আসিফের চেয়ে সফলতা খানিকটা বেশি সোনিয়ার। যদিও সঠিক সংখ্যা বলতে পারেননি; কিন্তু বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তার স্বর্ণপদক একশোর কম হবে না বলে জানিয়েছেন সোনিয়া। আসিফের স্বর্ণপদক রয়েছে ৭০ থেকে ৮০টি। দক্ষিণ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ২০১০ আর ২০১৬ সালে সোনিয়া জিতেছেন ৪*১০০ মিডলে রিলেতে ব্রোঞ্জ। এ ছাড়া ২০১৬ সালে এসএ গেমসেই গৌহাটি-শিলং থেকে ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে ব্যক্তিগত রৌপ্য জেতেন। আসিফ দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিযোগিতায় ১০০ ও ২০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল ব্রোঞ্জ জয় করেন। ২০১৯ সালে কাঠমান্ডু এসএ গেমসে দুটি ইভেন্টেই জিতে নেন রৌপ্য। সোনিয়া ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ ছাড়া বিশ্ব সাঁতার প্রতিযোগিতা, যুব অলিম্পিক আর কমনওয়েলথ গেমসেও নেমেছেন পুলে। যদিও কোনো সাফল্য আসেনি। আসিফও ২০২২ সালের বিশ্ব সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেন।
১১টি স্বর্ণ জিতলেও সোনিয়া ৩৩তম জাতীয় সাঁতারে দ্রুততম মানবী হতে পারেননি। ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে হেরে গেছেন যুথি আক্তারের কাছে। ২০১১ সালেও ১১টি স্বর্ণ জিতেছিলেন সোনিয়া। তবে আসিফ ঠিকই দ্রুততম সাঁতারুর ‘খেতাব’ জিতেছেন। আর ২০২১ সালে আসিফ-সোনিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম দম্পতি হিসেবে জিতেছিলেন ‘দ্রুততম মানব-মানবী’ হওয়ার গৌরব। ২০১০ সালে আসিফের পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ আনসার দলে। ২০১৩ সাল থেকে নৌবাহিনীর হয়ে পুলে নামছেন। সোনিয়াও নৌবাহিনীর সাঁতারু। দুই দশকের বেশি সময় পুলে আলোড়ন তোলা দম্পতি জানালেন, ‘যতদিন ফিট থাকব, পুলে নামব।’