বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সেরা একাদশে বাংলাদেশের জ্যোতি ও শারমিন

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৩৫

জ্যোতি ও শারমিন। বিসিবির ফাইল ছবি
পাকিস্তানের বিপক্ষে হারলেও স্বপ্ন ভেস্তে যায়নি বাংলাদেশের। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বাছাইয়ের সেরা একাদশেও জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার।
সেই দুজন—জ্যোতি ও শারমিন আক্তার। সেরা একাদশে জ্যোতি আছেন উইকেটরক্ষক হিসেবে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বাছাইয়ে চারে ব্যাটিংয়ে নামলেও সেরা একাদশের ব্যাটিং লাইনআপে পাঁচ নম্বরে রাখা হয়েছে তাকে।
আর শারমিন আছেন ব্যাটিং লাইনআপের চারে। বাছাইয়ে তিনি তিন নম্বরে ব্যাট করেছেন। জ্যোতি বাছাইয়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিলেও সেরা একাদশের অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের ফাতিমা সানাকে।
বাছাইয়ে শারমিন এক ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি করেছেন ২৬৬ রান। সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ৯৪, থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। করেছেন তিন ফিফটি। বাছাইয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে শারমিনের ব্যাট থেকে।
জ্যোতি এক সেঞ্চুরিতে করেছেন ২৪১ রান। দুই ক্যাচের পাশাপাশি করেন তিন স্ট্যাম্পিং। প্রথম তিন ম্যাচে তার ইনিংস—১০১, ৫১ ও ৮৩*। তবে পরের দুই ম্যাচে ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের রান।
একাদশে জায়গা না হলেও বাছাইয়ে রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে আছেন বাংলাদেশি স্পিনার রাবেয়া খান। টুর্নামেন্টে ৬ উইকেটের পাশাপাশি নিয়েছেন এক ক্যাচ। সেরা বোলিং—৩/৩৯।
একাদশে বেশি চার ক্রিকেটার সবার আগে বাছাই থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা স্বাগতিক পাকিস্তানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিনজন। দুজন করে বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ডের।
এর আগে বাংলাদেশ মেয়েদের বিশ্বকাপে দেখা গেছে মাত্র একবার, ২০২২ সালে। এবার প্রথম তিন ম্যাচ জিতে আবারও বিশ্বকাপে যাওয়ার আশা জাগিয়ে তোলেন জ্যোতিরা। তবে ক্যারিবীয় মেয়েদের বিপক্ষে হেরে পড়ে যান কঠিন সমীকরণের সামনে। তবে শনিবার লাহোরে শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলে আর কোনো সমীকরণের দরকার হতো না তাদের। কিন্তু সেই ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরে বসে বাংলাদেশ।
যার কারণে জ্যোতিদের তাকিয়ে থাকতে হয় উইন্ডিজ ম্যাচের দিকে। ক্যারিবীয়রা ৬ উইকেটে জেতে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। ১৬৭ রানের লক্ষ্য ২৩৫ বল হাতে রেখে জিতলেও কপাল পুড়ে তাদের। দাপুটে জয়েও যে নেট রানরেটে উইন্ডিজ টপকে যেতে পারেনি বাংলাদেশকে!
থাইল্যান্ডকে হারিয়ে তালিকার তিনে ওঠে আসা ক্যারিবীয়দের পয়েন্ট দাঁড়ায় ৬, নেট রানরেট—০.৬২৬। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে হারা বাংলাদেশের পয়েন্ট হয় ৬, নেট রানরেট—০.৬৩৯।
আইসিসি বিশ্বকপ বাছাই সেরা একাদশ: হেইলি ম্যাথুস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মুনিবা আলী (পাকিস্তান), শারমিন আক্তার (বাংলাদেশ), ক্যাথরিন ব্রাইস (স্কটল্যান্ড), নিগার সুলতানা জ্যোতি (বাংলাদেশ, উইকেটরক্ষক), ফাতিমা সানা (পাকিস্তান, অধিনায়ক), চিনেলে হেনরি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), আলিয়াহ অ্যালিনে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ক্যাথেরিন ফ্রেশার (স্কটল্যান্ড), নাশরা সান্ধু (পাকিস্তান), সাদিয়া ইকবাল (পাকিস্তান)।
রিজার্ভ খেলোয়াড়: রাবেয়া খান (বাংলাদেশ)।