
ছবি-বিসিবি
একের পর এক সেঞ্চুরিতে প্রিমিয়ার লিগ মাতাচ্ছেন এনামুল হক বিজয়। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে মাঠ মাতানো বিজয় সুপার লিগে এসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে স্বীকৃত ক্রিকেটে সেঞ্চুরির ফিফটি করে ফেলেন। এই ইতিহাস গড়ার পরের ম্যাচেও হাঁকান সেঞ্চুরি। সাদা বলে ক্রিকেটে একের পর এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বিজয় সুযোগ পেয়ে গেলেন লাল বলের ক্রিকেটে।
চলমান জিম্বাবুয়ে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়েছেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার। দীর্ঘ তিন বছর পর টেস্টে ফেরার এই সুযোগ কাজে লাগাতে মুখিয়ে আছেন তিনি। মূল একাদশে সুযোগ এলে সেটাই করবেন ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর সাম্প্রতিক দেশালকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিজয় এই প্রতিবেদককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “অনেক দিন পর সুযোগ এলো, চেষ্টা থাকবে সুযোগ কাজে লাগানোর। বাকিটা দেখা যাক।”
ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশিরভাগ সময়ই ধারাবাহিক বিজয়। নির্বাচকদের নজরও ছিল তার ওপর অনেক দিন। জাতীয় ক্রিকেট লিগেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ক্রিকেট লিগের ১৩ ইনিংসে এক সেঞ্চুরিতে ৭০০ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। সর্বশেষ বিপিএলেও এক সেঞ্চুরি আর দুই হাফসেঞ্চুরিতে করেছেন ৩৯২ রান।
বর্তমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও রীতিমতো উড়ছেন বিজয়। গাজী গ্রুপের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৪ ইনিংসে করেছেন চারটি সেঞ্চুরি। চলতি লিগে তার গড়টাও দুর্দান্ত, ৭৯.৪৫। স্ট্রাইক রেট ৯৭.৪৩। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৮৭৪ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহের তালিকায় শীর্ষে আছেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। বাকিরা কেউ ৭০০ রানও করতে পারেননি।
এমন ধারাবাহিক হওয়ার পুরস্কারটাও পেলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যখন খাবি খাচ্ছে তখন বিজয়ে আস্থা রাখলেন নির্বাচকরা। মূল একাদশে সুযোগ পেলে সেই আস্থার মান বিজয় এবার রাখতে পারেন কিনা সেটার দেখার অপেক্ষা!