ডিপিএলে আম্পায়ারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তাওহিদ হৃদয়। ছবি- সংগৃহীত
তাওহিদ হৃদয়কে শাস্তি দিয়েই যেন বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল (বিসিবি)। শাস্তির সিদ্ধান্তে বিভিন্ন সময়ে আসছে পরিবর্তন। সবশেষ খবর এবার নয়, আগামী বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) প্রথম ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকবেন মোহামেডানের দলনেতা তাওহিদ হৃদয়।
বিসিবি’র নতুন এই সিদ্ধান্তের কারণে ডিপিএলে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে খেলতে পারবেন মোহামেডানের টপঅর্ডার এই ব্যাটার।
ডিপিএলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে না নেওয়ায় এক ম্যাচ নিষিদ্ধ ও চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে আম্পায়ারের সমালোচনা করায় আবারও এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হন তিনি।
বিগত কয়েকদিনে হৃদয় ইস্যুতে বিসিবি’র সিদ্ধান্তে হচ্ছে আলোচনা ও সমালোচনা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল তামিম ইকবালের। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় দৃশ্যপট।
সকাল ১১টা থেকে অন্যান্য ক্রিকেটারদের আগমন শুরু হয়। প্রায় সোয়া ১২টার দিকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার সঙ্গে পরে যোগ দেন তাওহিদ হৃদয়, নুরুল হাসান সোহান, সাব্বির রহমান, শরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, সাইফ হাসান, সাইফ উদ্দিন, জিয়াউর রহমান, নাসুম আহমেদসহ অনেকে। ছিলেন একাদিক সাবেক ক্রিকেটারও। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবের কর্তাদেরকেও দেখা যায়।
স্টেডিয়ামের একাডেমি ভবনে বসে প্রায় দেড় ঘণ্টার দীর্ঘ মিটিং করেন ক্রিকেটাররা। এরপরেই সেখানে পৌঁছান বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। দুই পক্ষের বৈঠকও হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলেন তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, যে ছেলে (হৃদয়) তার শাস্তি ভোগ করে, সে একই অপরাধের জন্য আবার কীভাবে শাস্তি পেতে পারে। এটা কোন রুলে কীভাবে করছে- আমার কাছে জানা নেই। এটা খুব হাস্যকর। এটা কোনোভাবেই নিষেধাজ্ঞা হতে পারে না।
তামিম কথা বলার পরই আসে নতুন সিদ্ধান্ত। হৃদয় ইস্যুতে আবারও নিজেদের অবস্থান পাল্টেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শাস্তি বহাল হলেও সেটি এবার নয়, এক বছর পর কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিসিবি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরবর্তী আদেশ অকার্যকর হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির পর সভা হয়েছে, যেখানে বিষয়টি আবারও বিবেচনায় নিয়ে ম্যাচ নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেকনিক্যাল কমিটি। যা কার্যকর হবে ১২ মাস পর (পরবর্তী ডিপিএলের শুরুতে)।’