
আরিনা সাবালেঙ্কা
ডব্লিউটিএ র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন। গ্র্যান্ড স্লাম খেলেছেন তিনটি ফাইনাল। বছর শেষ করেছেন বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম জিতে। এমন একটি মৌসুমকে সফল না বলে উপায় আছে? তবে ব্যর্থতার আগুনেও যে আরিনা সাবালেঙ্কাকে পুড়তে হয়েছে দুইবার।
বছরের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ম্যাডিসন কিসের কাছে হারেন বেলারুশের এই মেয়ে। সেটি না হলে টানা তৃতীয়বার মেলবোর্নে শিরোপা উদযাপন করা হতো সাবালেঙ্কার। এরপর প্রথমবার ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে উঠে ২৭ বছর বয়সী তারকা হেরে যান কোকো গফের কাছে। উইম্বলডনের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেন আমান্ডা আনিনিমোভার বিপক্ষে হেরে।
সেটির কী সুন্দর প্রতিশোধই না তিনি নিলেন ইউএস ওপেনে! ফাইনালে আনিসিমোভাকে ৬-৩, ৭-৬ (৭-৩) গেমে হারিয়ে জিতেছেন শিরোপা। জয় নিশ্চিত হতেই আবেগে হাঁটু মুডে ফ্ল্যাশিং মিডোর কোর্টে বসে পড়েন সাবালেঙ্কা। এরপর বলেন, ‘ওই দুই ফাইনালের (অস্ট্রেলিয়ান ও ফ্রেঞ্চ ওপেন) পর, যেখানে আমি পুরোপুরি নিজের আবেগের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলাম, সেটি আমি আবারও ঘটতে দিতে চাইনি।’
গত বছর প্রথমবার ইউএস ওপেনের স্বাদ পান সাবালেঙ্কা। টানা দ্বিতীয়বার বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নতুন কীর্তিও গড়েছেন তিনি। সেরেনা উইলিয়ামসের পর ইউএস ওপেনে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে মেয়েদের সিঙ্গেলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলেন সাবালেঙ্কা। ২০১২-১৩-১৪-এ টানা তিনটি শিরোপা জিতেছিলেন মার্কিন কৃষ্ণকলি সেরেনা।
এবারের ইউএস ওপেন না জিতলে খালি হাতেই থাকতে হতো সাবালেঙ্কাকে। ২০২৪ সালে ফ্ল্যাশিং মিডো জয়ের পর এটিই তার প্রথম গ্ল্যান্ড স্লাম। এ নিয়ে ২৭ বছর বয়সী তারকার গ্র্যান্ড স্লামের সংখ্যা দাঁড়াল চার। টানা দুইবার করে জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ইউএস ওপেন।