
নাজমুল হুদা ফয়সাল
পাঁচবার নেতৃত্ব দিয়েছেন, পাঁচবারই জুটেছে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা। বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক ফুটবলের এক ট্রাজিক হিরো-নাজমুল হুদা ফয়সাল। ট্রফি তার হাতের খুব কাছে এসেও বারবার ফসকে গেছে। এবার কি সেই ইতিহাস বদলাবে? নাকি আবারও ফিরতে হবে শূন্য হাতে?
২০২৩ সালের অনূর্ধ্ব-১৬ সাফ দিয়ে শুরু, এরপর গত বছর অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ। প্রতিবারই তার নেতৃত্বে দল ফাইনালে পৌঁছেছে। কিন্তু শিরোপা ছুঁতে পারেনি। ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে দুইবার রানার্সআপ হওয়ার বেদনা তাকে তাড়া করে ফিরেছে। বিশেষ করে গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের ফাইনালে ভারতের কাছে হারের পর তার টাইব্রেকার মিস যেন ব্যক্তিগত আক্ষেপের প্রতীক হয়ে আছে। সেই রাত ফয়সালকে শিখিয়েছে, অধিনায়কের ভুলের দায়ভার কেবল তার কাঁধেই বর্তায়।
সেই হারের হতাশা, ব্যক্তিগত ব্যর্থতার গ্লানি সবকিছু পেছনে ফেলে ফয়সাল আবার প্রস্তুত। এবার শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৭ সাফেও তার কাঁধে অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব। তবে এবার ফয়সাল একা নন। তার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো সম্প্রতি জাপান সফর করে আসা ১৪ ফুটবলার। যারা বিকেএসপির হয়ে সেখানকার ফাইনাল রাউন্ডে উঠেছিল। এ ছাড়াও সবশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের ফাইনালে খেলা পাঁচজন অভিজ্ঞ ফুটবলারও তার দলে আছে।
১৩ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে ফয়সাল ও কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন দুজনেই দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন, এবার তারা ট্রফি নিয়েই ফিরবেন। ফয়সালের চোখে-মুখে এবার কোনো হতাশার ছাপ নেই, আছে কেবলই সংকল্পের আগুন। এই টুর্নামেন্ট এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে ফয়সালের অপূর্ণ স্বপ্নের পূর্ণতা দেওয়ার শেষ সুযোগ। প্রশ্ন একটাই, এবার কি তার অপেক্ষার অবসান হবে?