Logo
×

Follow Us

খেলাধুলা

পাওয়ার হিটিং

উডের জাদু কি কাজে এলো

Icon

আরমান হাসান

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:১৯

উডের জাদু কি কাজে এলো

পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উড ছবি : সংগৃহীত

এশিয়া কাপের উত্তাপ যখন তুঙ্গে, তখন বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিশেষ করে, টুর্নামেন্টের আগে পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডের অধীনে নেওয়া প্রশিক্ষণ কতটা কাজে দিয়েছে, সে বিষয়ে উঠছে প্রশ্ন। কাগজে-কলমে মিশ্র ফলাফল থাকলেও কিছু ইতিবাচক দিকও চোখে পড়েছে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ছক্কা মারার পরিসংখ্যান মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। উডের প্রশিক্ষণ সত্ত্বেও বড় শট খেলার ক্ষেত্রে দলীয় দুর্বলতা স্পষ্ট। টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ছক্কার অভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়েছে বাংলাদেশ, যার মধ্যে একাই চারটি মেরেছেন সাইফ হাসান এবং বাকি দুটি তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে এসেছে। 

এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ছিল পাঁচ ছক্কা। হতাশাজনক বিষয় হলো, তুলনামূলক দুর্বল হংকংয়ের বিপক্ষেও বাংলাদেশ মাত্র দুটি ছক্কা হাঁকাতে পেরেছে। এর চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছিল গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে। ১৩৯ রান করলেও ছক্কা হয়েছিল মাত্র একটি। সব মিলিয়ে এই চার ম্যাচে বাংলাদেশের মোট ছক্কার সংখ্যা ১৪। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, পাওয়ার হিটিংয়ে দল এখনো অনেক পিছিয়ে। এশিয়া কাপ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজেও বেশ ভালো ছন্দে ছিল বাংলাদেশ। সিলেটে সেই সিরিজে তিন ম্যাচে ১৬টি ছয় হাঁকিয়েছিল লিটন দাসের দল।

এবারের এশিয়া কাপে পাওয়ার হিটিং নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন জাকের আলী অনিক। বড় শট খেলার জন্য দলে নেওয়া হলেও তিনি নিজের সেরা ছন্দ খুঁজে পাননি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক ম্যাচে ৪১ রান করলেও খেলেন ৩৪ বল, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য বেশ মন্থর। তার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, আগে থেকে স্ট্যান্ড নিয়ে লেগ সাইডে টেনে খেলার প্রবণতা, যা অনেক সময়ই দৃষ্টিকটু দেখায়। 

তবে আশার আলো দেখিয়েছেন তরুণ ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে সাইফ ও হৃদয় মাঝে মাঝে বড় শট খেলার ক্ষমতা দেখিয়েছেন। উড নিজেও আশাবাদী, এই প্রশিক্ষণ দীর্ঘ মেয়াদে ফল দেবে এবং খেলোয়াড়েরা মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে পারলে তাদের খেলার মান আরো বাড়বে। তবে লিটন এই প্রশিক্ষণের দীর্ঘমেয়াদি উপকারিতার কথা বলেছেন। তার মতে, একটি সিরিজের আগে কয়েক দিনের অনুশীলনে তাৎক্ষণিক ফল আশা করা কঠিন। তবে নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে গেলে সেটি ভবিষ্যতে কাজে আসবে।

উডের প্রশিক্ষণ দলের ব্যাটারদের বড় শট খেলার ক্ষমতা ও রান তোলার গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছিল। তিনি আশাবাদী, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আরো ভালো প্রভাব দেখা যাবে। কারণ সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলোয়াড়েরা এই নতুন পদ্ধতির সঙ্গে আরো পরিচিত হবেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫