বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন আমিনুল-ফাহিম

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:২৮

সংবাদ সম্মেলনে আমিনুল ও ফাহিম।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। রাত পোহালেই রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেলে আনুষ্ঠানিক ভোটাভুটি। নির্বাচনের আগের দিন সরে দাঁড়ালেন আরও এক প্রার্থী। তার সরে দাঁড়ানোয় পোয়াবারো বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমের। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের বিসিবিতে নির্বাচিত হয়ে আসছেন এই দুজন।
রবিবার একাধিক অভিযোগ এনে সরে দাঁড়িয়েছেন অভিজ্ঞ সংগঠক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদওয়ান। তিনি সরে যাওয়ায় ঢাকা বিভাগ থেকে প্রার্থী রইলেন দুজন—আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
রেদওয়ান ঢাকা বিভাগের জামালপুর স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন থেকে তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। সমর্থনকারী কাউন্সিলরের স্বাক্ষরের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় শুরুতে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল। পরে স্বাক্ষরের বৈধতা যাচাইয়ের পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ফুয়াদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে।
রবিবার বিসিবি প্রাঙ্গণে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে সাংবাদিকদের ফুয়াদ বলেন, “একজন প্রার্থী হিসেবে আমি বলতে চাই, আমি ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রার্থী ছিলাম। আপনারা জানেন, আমার প্রার্থীতাও বাতিল করা হয়েছিল। আমি অনেক কষ্টে সেটাকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলাম। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে আমি একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করতে পারি। কিন্তু সেটি হয়নি।
“আপনারা আজকের একটি পত্রিকায় খবরটা পড়তে পারেন। সেখানে শিরোনাম হচ্ছে, ‘বিসিবি নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন।’ নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেছে। নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী, ১ তারিখে ই-ব্যালট এবং পোস্টাল ব্যালট দেওয়ার কথা ছিল। আমি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনেকবার দেখা করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা আমার সঙ্গে দেখা করেননি।”
এমনকি তাকে ফোন নম্বর পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে দাবি তার, “আমি এখনও চারজন কাউন্সিলরের ফোন নম্বর পাইনি। বিসিবি আমাকে সেগুলো দেয়নি। চারজন কাউন্সিলর। তাহলে ভোট কী? তাহলে আমি কীভাবে ভোট দেব? ভোট স্বচ্ছ নয়। তাই এই নির্বাচন থেকে আমি সরে দাঁড়াচ্ছি।”