কার্ড না দেখার জন্য মুখে লাল টেপ লাগিয়েও কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল জিওভেন এলবারকে
ফুটবল মাঠে কত মজার ঘটনাই তো ঘটে। তেমন এক হাসির ও অবাক করা ঘটনা ঘটেছিল ২৮ বছর আগে। কার্ড না দেখার জন্য মুখে লাল টেপ লাগিয়েও কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল জিওভেন এলবারকে। ১৯৯৭ সালের মার্চে বুন্দেসলিগায় স্টুটগার্ট নিজেদের মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল ১৮৬০ মিউনিখের বিপক্ষে। ম্যাচটি ড্র হয় ১-১ গোলে।
সাধারণ কোনো ম্যাচ ছিল না সেটি। দুই দলের লড়াই ছিল দেখার মতো। তবে ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে আছে অন্য কারণে। সেটি এলবারের জন্য। ম্যাচটি না দেখলেও যারা নব্বই দশকের ফুটবলের ভক্ত ছিলেন, সাবেক এই ব্রাজিলীয়কে চিনে থাকবেন।
১৯৯৪-৯৭ পর্যন্ত এলবার খেলেছেন স্টুটগার্টের হয়ে। এরপর যোগ দেন বায়ার্ন মিউনিখে। ক্যারিয়ারের বেশি সময় তিনি কাটিয়েছেন জার্মান ফুটবলে। ব্রাজিলের হয়ে ১৯৯৮-২০০১ পর্যন্ত খেলেছেন ১৫ ম্যাচ। বলা হয়ে থাকে, এলবার প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের সামনে যেমন ধূর্ত ছিলেন তেমনি তার জিহ্বাটাও চলত সমানতালে। সেই কারণে বেশ বিপদেও পড়তে হয়েছে তাকে।
১৮৬০ মিউনিখের বিপক্ষে সেই ম্যাচে রেগে গিয়ে রেফারিকে কটু কথা বলায় ২৬ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন এলবার। এরপরই যেন বোধোদয় হয় তার। দ্বিতীয়ার্ধে বিরল এক কাণ্ড করে বসেন এলবার। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড এড়াতে বিরতির পর মাঠে নামেন মুখে লাল টেপ লাগিয়ে! আবার না রেফারিকে গালাগাল করে লাল কার্ড দেখে বসেন, সেই কারণে এমন ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। তার পরও শেষ রক্ষা হয়নি। মেজাজ হারিয়ে ৭৮ মিনিটে দেখেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। এবার অবশ্য মুখ বন্ধ থাকা অবস্থায় লাল কার্ড দেখেন। ১৮৬০ মিউনিখের এক খেলোয়াড়কে কনুই দিয়ে ধাক্কা দিয়ে বসেন এলবার। রেফারিও লাল কার্ড দেখাতে সময় নেননি। মুখ খোলা রাখুক বা বন্ধ-এলবারকে শেষ পর্যন্ত মাঠের বাইরে যেতেই হয়েছিল। তার এই হাস্যকর ঘটনার জন্য ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে আছে।
সেই মৌসুমে স্টুটগার্টের হয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছিলেন এলবার। বুন্দেসলিগায় করেন ১৭ গোল। পরের মৌসুমে তিনি যোগ দেন বায়ার্নে। বাভারিয়ানদের হয়ে জেতেন একাধিক শিরোপা। ৫৩ বছর বয়সী সাবেক এই স্ট্রাইকার ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ২০০৬ সালে, স্বদেশি ক্লাব ক্রুজেইরোর হয়ে। অন্যদিকে স্টুটগার্ট বুন্দেসলিগায় আছে। তবে ১৮৬০ মিউনিখ বর্তমানে খেলছে জার্মান ফুটবলের তৃতীয় স্তরে।
