
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। দীর্ঘ একবছরের বেশি সময় ধরে তাঁকে নিয়ে চলতে থাকা জল্পনাকে স্বকীয় মেজাজেই বাউন্ডারিতে পাঠালেন সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ভারতের সেরা অধিনায়ক।
অবসরোত্তর জীবন ধোনি কীভাবে কাটাবেন। অন্যান্যদের মতো ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পরেও ক্রিকেট মাঠে ধারাভাষ্যকার, কোচ কিংবা কোনো দলের মেন্টরের ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে নাকি প্রাসাদোপম ফার্ম-হাউসে অরগ্যানিক ফার্মিং। নাকি কন্যা জিভা এবং স্ত্রী সাক্ষীর সঙ্গে সুখী পরিবার।
অপশন প্রচুর, কিন্তু ধোনি তো গতানুগতিক নন। বিদায়বেলাতেও দেখিয়ে দিলেন সেটা। অন্যান্যদের মতো অবসর ঘোষণার জন্য প্রেস কনফারেন্সের ধারেকাছেও ঘেঁষলেন না। এহেন ধোনি নাকি ক্রিকেট থেকে অবসরোত্তর জীবন আরো বেশি করে কাটাবেন দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে। জানালেন তাঁর বিজনেস পার্টনার অরুণ পান্ডে।
ধোনির অবসর নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর বিজনেস পার্টনার বলেছেন, চলতি বছর টি২০ বিশ্বকাপের পরেই ও অবসর নেবে ভেবেছিলাম। কিন্তু সেটা পিছিয়ে যাওয়ার পর বিষয়টা পুরোপুরি ধোনির হাতেই ছিলো। ফলত স্বাধীনতা দিবসে ক্রিকেট থেকে সন্ন্যাস নেয়ার ব্যাপারটা ধোনি ছাড়া তাঁর ঘনিষ্ঠমহলে কেউ জানত না বলেই দাবি করেছেন অরুণ পান্ডে।
পিটিআইকে অরুণ পান্ডে জানিয়েছেন, জানতাম ধোনি শীঘ্রই অবসর নেবে কিন্তু সঠিক সময়টা আমরা কেউই জানতাম না। যাইহোক এটা সম্পূর্ণ তাঁরই ব্যাপার। ও আইপিএল প্রস্তুতি শুরু করেছিল কিন্তু প্রথমে সেটা স্থগিত হলো এবং তারপর টি২০ বিশ্বকাপও তাই। ধোনি মানসিকভাবে মুক্ত হতে চাইছিল।
১৫ আগস্ট দেশের সেনাবাহিনীর জন্য একটা বিশেষ দিন। ধোনি এই ব্যাপারটাকে মাথায় রেখেছিল। তবে নিঃসন্দেহে টি-২০ বিশ্বকাপে স্থগিতাদেশ ওর অবসর ঘোষণার একটা বড় কারণ।
উল্লেখ্য, বিশ্বজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি দেশের টেরিটোরিয়াল আর্মির সাম্মানিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে আসীন। গতবছর বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর একমাসেরও বেশি সময় সেনাবাহিনীর প্যারাসুট রেজিমেন্টের সঙ্গে ট্রেনিং করেছিলেন ধোনি। সমস্ত দিক দেখেশুনে তাই অরুণ পান্ডে বলছেন, ‘ধোনি আর যাই করুন না কেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে পরবর্তীতে যে আরো বেশি করে সময় কাটাবেন সেটা নিশ্চিত।’
এছাড়া বিভিন্ন কমার্শিয়াল ভেঞ্চার এবং অন্যান্য প্রতিশ্রুতিও পূরণ করার ব্যাপারও রয়েছে প্রাক্তন অধিনায়কের। তারা শুধু বসে বসে ধোনির সিদ্ধান্তগুলো উপভোগ করবেন বলে জানিয়েছেন পান্ডে।