বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই ফুটবলের খেলা আবারো স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার সাথে আলোচনার ভিত্তিতে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে এএফসি ক্লাব কাপের খেলায় এর কোনো প্রভাব পড়বে না। পরিবর্তিত সূচি অনুসারেই খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
এবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বসুন্ধরা কিংস। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন দলটি এ পর্যন্ত একটিমাত্র ম্যাচ খেলেছে। সেখানে ৫-১ গোলে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাবকে পরাজিত করে শুভসূচনা করেছে। এরপর ১৪ এপ্রিল দ্বিতীয় ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও সেটি আর মাঠে গড়ায়নি করোনাভাইরাসের কারণে। এর চার মাস পরও কোনো খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। যদিও এশিয়ার বেশিরভাগ দেশেই এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বসুন্ধরা সে হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জাতীয় দলে খেলোয়াড় নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টির আশঙ্কা হয়েছিল, সেগুলো এখন নেই।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এরই মধ্যে জানিয়েছে, মালদ্বীপে এএফসি কাপের খেলা নির্ধারিত সময়ে হবে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানিয়েছেন, মালদ্বীপে বসুন্ধরার খেলা হবে এক ভেন্যুতে।
সেখানে গ্রুপের অন্য দুই দেশের ক্লাব দল যাবে। ভারতের চেন্নাই সিটি এফসি, স্বাগতিক দেশের টিসি স্পোর্টস, মাজিয়া স্পোর্টস রিক্রিয়েশন ক্লাব ও বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস খেলবে। আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত খেলা হবে। বসুন্ধরা কিংসের হাতে এখন বাংলাদেশের বাতি। দেশের ফুটবলের উন্নতির মানদণ্ড নতুন এই ক্লাব নিয়ে অনেকে ভাবছেন। এর একটা সঠিক ধারণা এখান থেকে পাওয়া যেতে পারে।
করোনাভাইরাসের কারণে এএফসি কাপসহ অন্য সব ম্যাচই বন্ধ হয়ে যায়। তবে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতেই নতুন পরিকল্পনা নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে এগিয়ে এসেছে এএফসি। গত মাসে এএফসি কাপে অংশগ্রহণকারী দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের চারটি ক্লাবের সাথে আলোচনা করে এএফসি সিদ্ধান্ত নেয় অক্টোবরে একটি নির্দিষ্ট ভেন্যুতে ছোট্ট টুর্নামেন্ট আকারে অনুষ্ঠিত হবে ‘ই’ গ্রুপের বাকি ম্যাচগুলো। এখানে কপাল খুলেছে বসুন্ধরার। মালদ্বীপে এই ১৩ দিনে মোট ম্যাচ ডে রাখা হয়েছে পাঁচটি। সেখানে প্রতিদিন দুটি করে মোট ১০টি ম্যাচ নির্দিষ্ট একটি ভেন্যুতে শেষ করা হবে। তবে ভেন্যু এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
মালদ্বীপ নিজেদের মাঠে খেলা হলেও একেবারে শেষ সময়ে এসে ভেন্যুর নাম ঘোষণা করে। এতে করে দেশটির একটি কূটনীতি লক্ষ্য করা গেছে। যা প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য আলাদা একটা চাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। সবমিলিয়ে প্রথম ম্যাচে দারুণ জয়ের পর দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলার লক্ষ্য নিয়েই মালদ্বীপ যাবে বসুন্ধরা।