
সাকিব আল হাসান
গত ২৯ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞামুক্ত সাকিব আল হাসান। বাজিকরদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে তা গ্রহণ না করলেও, সেটা বিসিবি বা আইসিসির কাছে না জানানোর অপরাধে এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন এই অলরাউন্ডার।
সাকিব কবে দেশে ফিরবেন? যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসে আবার কবে মাঠে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করবেন? তা জানতে রাজ্যের কৌতূহল ভক্ত, সমর্থকদের।
গতকাল সোমবার (২ নভেম্বর) সাকিবের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে, আগামী বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরতে পারেন সাকিব। দেশে আসার পরপরই মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে সাকিব তার অনুশীলন শুরু করবেন।
তার মানে ১০ নভেম্বরের মধ্যেই হয়তো শেরেবাংলায় ব্যাট ও বল হাতে অনুশীলনে দেখা মিলবে সাকিবের। তারপর চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে যে পাঁচ দলকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে, সেখানেও খেলবেন সাকিব।
এক বছর পর আবার মাঠে ফেরা মুক্ত সাকিবকে দলে ভেড়াতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে। প্লেয়ার্স ড্রাফট হলে সাকিবই হবেন সব দলের ফার্স্ট চয়েজ। এটা সত্য যে, টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সাকিব আছেন বলেই শেষ পর্যন্ত এটা করপোরেট লিগ হতে যাচ্ছে। মাঠে ফেরা সাকিব হতে পারেন যেকোনো দলের জন্য বড় সম্পদ।
এর আগে শোনা গিয়েছিল, শ্রীলঙ্কা সফরের দ্বিতীয় টেস্ট থেকে মাঠে ফিরবেন সাকিব। সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে বিকেএসপিতে ১৫ দিনের নিবিড় অনুশীলও করেছেন। শ্রীলঙ্কা সফর বাতিলের ঘোষণা আসার পর গত ১ অক্টোবর দিবাগত রাতে আবার চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে।
এদিকে সাকিবকেও পাস করতে হবে ফিটনেস টেস্টে। যথাযথ প্রক্রিয়ার ভেতরে নাম তোলা হবে খেলোয়াড় তালিকায়। ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই তাকে খেলতে হবে টুর্নামেন্ট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।
সুমন বলেন, সবার জন্য বিসিবির একই সিদ্ধান্ত। সাকিবকেও প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। শুনেছি তার ফিটনেস বেশ ভালো আছে। এটা অবশ্যই তাকে এগিয়ে রাখবে।
টি-টোয়েন্টির জন্য তৈরি করা হয়েছে ৭৫ জনের খসড়া তালিকা। জাতীয় দলের পুল, এইচপি, অনূর্ধ্ব-১৯ ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের রাখা হয়েছে।