Logo
×

Follow Us

খেলাধুলা

সাঁতারুদের আঁতুড়ঘর নিকলী

Icon

আকিব হৃদয়, কিশোরগঞ্জ

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:৫২

সাঁতারুদের আঁতুড়ঘর নিকলী

সাঁতারে আলো ছড়াচ্ছেন কিশোরগঞ্জের নিকলীর সাঁতারুরা।

সাঁতারে আলো ছড়াচ্ছেন কিশোরগঞ্জের নিকলীর সাঁতারুরা। দেশের প্রখ্যাত সাঁতারু মিজানুর রহমান ও ছামেদুল ইসলামসহ এ উপজেলায় প্রায় ৪৪ জন এরই মধ্যে সাঁতারে আলো ছড়িয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন তিন নারীও। 

১৯৯৩ সালে সাফ গেমসের সাঁতার ইভেন্টে মিজানুর রহমান স্বর্ণপদক জেতেন। ১৯৯৫ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত সাফ গেমসেও তিনি স্বর্ণপদক জেতেন। সেই সুবাদে নৌবাহিনীতে খেলাধুলা কোটায় সৈনিক পদে চাকরি হয় তার। ২০০১ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সাফ গেমসে ছামেদুল ইসলাম চারটি স্বর্ণপদক জেতেন। আরিফুল ইসলাম গত বছর অনুষ্ঠিত যুব গেমস সাঁতারে পাঁচটি ইভেন্টের পাঁচটিতেই স্বর্ণ জেতেন। এছাড়াও শরিফুল ইসলাম ২০১৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে সাঁতারে পাঁচটি স্বর্ণপদক জেতেন। গত বছর জাতীয় পর্যায়ে পেয়েছেন পাঁচটি স্বর্ণপদক। চাকরি করছেন নৌবাহিনীতে। আরও জানা যায়, সাঁতারে কৃতিত্ব দেখিয়ে নিকলী থেকে বিভিন্ন বাহিনীতে চাকরি হয়েছে ৪৬ জন। 

কৃতী সাঁতারু ছামেদুল ইসলাম বলেন, সাঁতার শিখে নিকলীর অনেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি পাচ্ছেন।  বিভিন্ন বাহিনীতে চাকরি পাচ্ছেন। তা দেখে এলাকার অনেক তরুণ-তরুণী সাঁতারে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন। 

উল্লেখ্য, শুরুটা হয়েছিল নিকলী সদর ইউনিয়নের মীরাহাটি গ্রামের আবুল হাশেমের (৬০) হাত ধরে। তিনি ১৯৭৫ সালে জাতীয় পর্যায়ে একটি রৌপ্য ও ১৯৭৭ সালে দুটি রৌপ্য এবং একই সালে ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় পাঁচটি স্বর্ণ জেতেন। শুরুর দিকে তাকে দেখে স্থানীয় অনেকে সাঁতারে আসতে থাকেন। তার হাত ধরে নিকলী সুইমিং ক্লাব গড়ে উঠে। ২০১১ সালে গড়ে ওঠে ভাটি বাংলা সুইমিং ক্লাব। 

জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আল আমীন বলেন, দেশের সাঁতারে সেরা হলো নিকলী উপজেলা। এই উপজেলার সাঁতারু হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। তাই নিকলী হচ্ছে সাঁতারুদের আঁতুড়ঘর।


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫