উইমেন্স টি-টোয়েন্টি: শারজায় চ্যাম্পিয়ন সালমার দল

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২০, ০৯:৩৩
মেয়েদের আইপিএল নামে পরিচিত উইমেন্স টি-টোয়েন্টির ফাইনালে ট্রেইলব্লেজার্সকে চ্যাম্পিয়ন করতে আসলেই অসাধারণ বোলিং করেছেন সালমা খাতুন।
চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট, একটি রান আউটে অবদান রেখেছেন। ক্রিকেট বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমানে প্রশস্তি চলছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের।
পাশাপাশি অনেকের মনে এই প্রশ্নও জাগছে, সালমাকে কেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেয়া হলো না? মাত্র ১১৮ রানের পুঁজি নিয়েই ট্রেইলব্লেজার্স উইমেন্স টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে চ্যাম্পিয়ন হলো তো সালমার দুর্দান্ত অফ স্পিনেই।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা স্টেডিয়ামের ফাইনালে টস জিতে সুপারনোভাস অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ফিল্ডিং নেন। সন্ধ্যায় শিশিরভেজা মাঠে বোলারদের বোলিং করাটা খুব কঠিন। ব্যাটিংয়ে গিয়ে ডিয়েন্ড্রা ডটিন ও স্মৃতি মান্ধানা ওপেনিং জুটিতে ৭১ রান তোলেন ১১.১ ওভারে। ডটিন ২০ রানে লেগস্পিনার পুনম যাদবের শিকার হওয়ায় ভাঙে জুটি। দলীয় ১০১ রানে ৪৯ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ম্যাচের সর্বোচ্চ ৬৮ করে আউট হন মান্ধানা। শশীকলা শ্রীবর্ধনার অফ-স্পিনে স্টাম্পড হয়ে যান অধিনায়ক। ১১ রান পর দলের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে দুই অঙ্কের রান করে আউট হন রিচা ঘোষ। আর কেউই দুই অঙ্কের মুখ দেখেননি।

রিচা থেকে শুরু করে সবাই বাঁহাতি স্পিনার রাধা যাদবের শিকার। শেষ ব্যাটসম্যানকে রানআউট করতেও ভূমিকা ছিল তার। চার ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন রাধা। ৮ উইকেটে মাত্র ১১৮ রান করতে পারে ট্রেইলব্লেজার্স।
কিন্তু রাধারা তখনও বুঝতে পারেননি সালমা-দীপ্তিদের বোলিংয়ে কী অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। ট্রেইলব্লেজার্সের ফিল্ডিংও ছিল দেখার মতো। থাই ক্রিকেটার নাত্তাকান চ্যানতাম ফিল্ডিংয়েই মন কেড়েছেন অনেকের।
জয়ের জন্য মাত্র ১১৯ রান তাড়া করে ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় সুপারনোভাস। আগের ম্যাচে ৬৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে দল জেতানো চামারি আতাপাত্তুকে এলবিডব্লিউ করেন সোফি ইকলেস্টেন। আম্পায়ার তার আবেদনে সাড়া দেননি, সফল হন ডিআরএস নিয়ে। এরপর তানিয়া ভাটিয়া ও জেমাইমা রড্রিগেজের উইকেট দুটি নিয়েছেন অফস্পিনার দীপ্তি শর্মা।
পরের গল্পটা শুধুই সালমার। সুপারনোভাসের ৭৪ রানে শশীকলা শ্রীবর্ধনাকে (১৯) ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন সালমা ১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে। তার ১৯তম ওভারে যায় তিন উইকেট- অনুজা পাতিল রান আউট হওয়ার পর বোল্ড হারমানপ্রীত (৩০), পূজা বস্ত্রাকার আউট ইকলেস্টোনের হাতে ক্যাচ দিয়ে। বাকি ৭ বল থেকে জয়ের জন্য সুপারনোভাসকে তুলতে হতো ২৫ রান। রাধা যাদব ও শাকেরা সেলমানের জুটিতে আসে মাত্র ৮ রান, ৭ উইকেটে ১০২ রানে থেমে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা হারে ১৬ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ট্রেইলব্লোজার্স: ২০ ওভারে ১১৮/৮ (মান্ধানা ৬৮, ডটিন ২০, রিচা ১০, রাধা ৫/১৬, শ্রীবর্ধনে ১/২২, পুনম ১/২৩)।
সুপারনোভাস: ২০ ওভারে ১০২/৭(হারমানপ্রীত ৩০, শ্রীবর্ধনে ১৯, ভাটিয়া ১৪,সালমা ৩/১৮, দীপ্তি ২/৯, ইকলেস্টোন ১/২৬)।
প্লেফার অব দ্য ফাইনাল: স্মৃতি মান্ধানা,
প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ: রাধা যাদব