
নতুন বছরে, নতুনের আহ্বান- পুরোনোকে ভুলে নতুনের পথে যাত্রা। নিউ নরম্যালে ক্রীড়াঙ্গনও ঘুরে দাঁড়াবে আপন আলোয়। যেখানে হয়ত গড়া হবে নতুন ইতিহাস, ভাঙতে পুরনো কীর্তি।
কারণ, ২০২০ স্থগিত হয়েছে অনেকগুলো আসর, সেই কারণেই বাড়তি আগ্রহ ২০২১ নিয়ে। এ বছর হোম-অ্যাওয়ে মিলিয়ে মোট আটটি সিরিজ খেলবে জাতীয় ক্রিকেট দল। এর বাইরে রয়েছে এশিয়া কাপ ও টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জ। ফুটবলে ঘরের মাটিতে অপেক্ষা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের। এছাড়া রোম সানার লক্ষ্যভেদে অপেক্ষার তালিকায় টোকিও অলিম্পিক।
তবে ২০২১ সালে ক্রিকেট বরাবারের মতই থাকবে আগ্রহের কেন্দ্রে, ২০২১ এর সূচি যেন ম্যাচে ঠাসা। করোনায় স্থগিত দ্বিপক্ষিয় সিরিজগুলো দেখবে আলোর মুখ। দেশে-বিদেশে ব্যস্ত থাকবেন সাকিব-তামিমরা। যার শুরুটা জানুয়ারি-ফ্রেব্রুয়ারির উইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে।
সেটার রেশ না কাটতেই ছুটতে হবে নিউজিল্যান্ডে, ডাউন আন্ডারের পরীক্ষা শুরু মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এপ্রিলের ফাকা উইন্ডোতে জায়গা করে নিতে পারে বহুল আলোচিত শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ সিরিজ।
২০২০ এ স্থগিত হয়ে যাওয়া এশিয়া কাপের আসর বসবে শ্রীলঙ্কায়, জুন মাসে। আগস্টে বাংলাদেশে আসবে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ব্যাক টু ব্যাক নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ।
অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে,টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জ। এরপর বাংলাদেশে আসবে পাকিস্তান,বছরের শেষ হবে ডিসেম্বরে টাইগারদের নিউজিল্যান্ড যাত্রার মাধ্যমে।
অন্যদিকে, বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাইপর্বে লড়াকু শুরুর আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা যায়নি। পাঁচ ম্যাচে ৪ হারের পর বাকি এখন আনুষ্ঠানিকতা। ২৫ মার্চ আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচ। এরপর ৭ জুন ভারত আর পরের সপ্তাহে ওমানের বিপক্ষে বেঙ্গল টাইগার্স। তিন ম্যাচ-ই ঘরের মাঠে।
বিশ্বকাপ বাছাই এখন আনুষ্ঠানিকতা, কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গুরুত্ব অস্বীকার করার উপায় নেই। স্থগিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সেপ্টেম্বরে। টানা চার আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের পর নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন বছরে নিজ ডেরায় শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার।