
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে দিল্লির সামনে ১৮৯ রানের বড় লক্ষ্যই দিয়েছিল চেন্নাই। কিন্তু পৃথ্বী ও ধাওয়ানের ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটিতেই ওই লক্ষ্যকে সহজ করে ফেলে দিল্লি।
ডোয়াইন ব্রাভোর বলে মঈন আলীর হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে দারুণ সব শটে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ বলে ৭২ রান করেন পৃথ্বী। অন্যদিকে, ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ বলে ৮৫ রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে সাজঘরে ফেরেন শিখর ধাওয়ান।
শেষ ৩ ওভারে জেতার জন্য মাত্র ১৭ রান দরকার ছিল দিল্লির। ব্র্যাভোর করা ১৮তম ওভারে আসে ১০ রান। শার্দুলের করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে লক্ষ্যটা হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন মার্কাস স্টইনিস। পরের বলে ডট। তৃতীয় বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন স্টইনিস (১৪)। চতুর্থ বলেই মিড উইকেটে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দিল্লির জয় নিশ্চিত করেন শিমরন হেটমায়ার। ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন পান্ত।
এর আগে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির নতুন অধিনায়ক পান্ত। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির দুই পেসার ক্রিস ওকস আর আবেশ খানের দাপটে চেন্নাইয়ের টপ অর্ডার ধসে পড়ে। দলীয় ৭ রানেই বিদায় নেন রুতুরাজ গায়কোয়াড (৫) ও ফাফ ডু প্লেসি (০)। এরপর মঈন আলীর সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েন সুরেশ রায়না।
২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ওভার বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করা মঈন রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার হলে জুটি ভাঙে। চতুর্থ উইকেটে আম্বাতি রাইডুকে সঙ্গী করে আরেকটি দারুণ জুটি উপহার দেন আগের আসর থেকে নাম সরিয়ে নেয়া রায়না।
মাত্র ৩২ বলে রায়না ফিফটি পূরণ করেন। রায়ডু ১৬ বলে ২৩ রানে আউট হওয়ার আগে জুটিতে আসে ৬৩ রান। তবে এরপর রান-আউট হয়ে যান ৩৬ বলে ৩ চার ৪ ছক্কায় ৫৪ রান করা রায়না। শেষদিকে রবীন্দ্র জাদেজা ১৭ বলে ২৬ এবং স্যাম কারান ১৫ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
তবে আইপিএলের শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির। মাত্র দুই বল খেলে আবেশ খানের বলে ০ রানে বোল্ড হন।
দিল্লির পক্ষে দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন আবেশ খান ও ক্রিস ওকস।