
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসান। উদ্বোধনী জুটিতে ২৫ রান যোগ করার পর ঋতুরাজ গায়কোয়াডের উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১ চারে ১৩ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
আক্রমণাত্মক খেললেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি আরেক ওপেনার ফাফ ডু প্লেসিস। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৭ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান।
এরপর মঈন আলীর সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়েন সুরেশ রায়না। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ বলে ২৬ রান করে মঈন আর ১৫ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরত যান রায়না।
মাঝে তিন ছক্কায় ১৭ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন আম্বাত্তি রাইডু। শেষদিকে ডোয়াইন ব্রাভোর ৮ বলে ২০ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে বড় সংগ্রহ পায় চেন্নাই।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করে তারা। রাজস্থানের পক্ষে ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন চেতেন শাকারিয়া এবং ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে এক উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান।
জবাবে শুরুটা ভালোই করেছিলেন ওপেনার জস বাটলার। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩০ রান। ১ চার ও ছক্কায় ১১ বলে ১৪ রান করে আউট হয়ে যান ভোড়া। অধিনায়ক স্যামসানও এদিন সুবিধা করতে পারেননি। ৫ বল থেকে এক রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তবুও বাটলারের ব্যাটে আশার আলো দেখছিল রাজস্থান।
তবে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ বলে ৪৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান বাটলার। তার ফেরার পরই যেন ধস নামে রাজস্থানের ব্যাটিংয়ে। মঈন আলী ও রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিতে ১০ রানের ভেতরই তাদের পাঁচ উইকেট তুলে নেয় চেন্নাই।
শেষদিকে ১৫ বলে ২০ রান করে রাহুল তেওয়াতিয়া ও ১৭ বলে ২৪ রান করে জয়দেব উনাদকাট চেষ্টা চালালেও সেটা যথেষ্ট হয়নি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে রাজস্থানের ইনিংস। ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি মুস্তাফিজ। চেন্নাইয়ের হয়ে ৩ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মঈন আলী।