
সাকিব-তাসকিন-মিরাজের বোলিংয়ে খুশিই হওয়ার কথা অধিনায়ক মুমিনুলের।
সিরিজের একমাত্র টেস্টের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে। তৃতীয় দিন শেষে সফরকারী দলের লিড দাঁড়িয়েছে ২৩৫ রানের। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৪৫ রান।
দিনশেষে ২১ রানে খেলছেন শাদমান ইসলাম ও ১৯ রানে অপরাজিত সাইফ হাসান।
বাংলাদেশের করা ৪৬৮ রানের পর ৪১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রানের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিও জিম্বাবুয়ে। আজ তৃতীয় দিনে টেলর ৩৭ ও কাইতানো ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে আবার ব্যাটিংয়ে নামেন। দিনের প্রথম সেশনটা নিজেদের দখলে রাখে স্বাগতিকরা। সেঞ্চুরির পথে ছোটা টেলর ৮১ রানে আউট হলেও রানের গতি বাড়িয়ে নেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা।
দ্বিতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণিতে এই সেশনে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে চোখ রাঙাতে থাকেন কাইতানো। তাকে অবশ্য ফেরান গেল শেষ সেশনের শুরুতেই। টেলরকে আউট করা মিরাজ কাইতোনোর উইকেটও তুলে নেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৮৭ রানের ইনিংসটি খেলতে ৩১১ বল খরচ করেন কাইতানো।

পরে মিরাজের ৫ উইকেট পাওয়ার দিনে সুবিধা করতে পারেননি প্রতিপক্ষের আর কোনও ব্যাটসম্যান। গুটিয়ে যায় ২৭৬ রানে। এটি মিরাজের টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টমবারের মতো ৫ উইকেট পাওয়ার কীর্তি। দেশের বাইরে দ্বিতীয়বারের মতো। মিরাজের ৫ উইকেট পাওয়ার দিনে আলো ছড়িয়েছেন সাকিব। ব্যাট হাতে রান না পেলেও প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে ১৯২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। শেষ সেশনে ১৭ ওভার ব্যাট করে ৪৫ রান সংগ্রহ করেন দুই ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান ও সাদমান ইসলাম। এতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৩৭ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে টাইগাররা। হাতে ১০ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৬৮
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: (আগের দিন ১১৪/১) ১১১.৫ ওভারে ২৭৬ (কাইটানো ৮৭, টেইলর ৮১, মায়ার্স ২৭, মারুমা ০, কাইয়া ০, চাকাভা ৩১*, টিরিপানো ২, নিয়াউচি ০, মুজারাবানি ২, এনগারাভা ০*; তাসকিন ২৪-১০-৩৬-১, ইবাদত ২১-৮-৫৮-০, সাকিব ৩৪.৫-১০-৮২-৪, মিরাজ ৩১-৫-৮২-৫, মুমিনুল ১-০-৩-০)।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১৭ ওভারে ৪৫/০ (সাদমান ২২*, সাইফ ২০*; মুজারাবানি ৫-৩-৬-০, এনগারাভা ১-০-৭-০, টিরিপানো ৪-০-১২-০, নিয়াউচি ৩-১-১০-০, শুম্বা ৩-০-৮-০, কাইয়া ১-০-২-০)।