
জ্যাসমিন কামাচো-কুইন
ছোট পুয়ের্তো রিকোকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে প্রথম স্বর্ণ এনে দিয়েছেন জ্যাসমিন কামাচো-কুইন। টোকিও অলিম্পিকসে নারীদের ১০০ মিটার হার্ডলস জিতে নিয়েছেন তিনি।
১২.৩৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণ জেতেন কুইন। পেছনে ফেলেন ইভেন্টের ফেভারিট ও বিশ্বরেকর্ডধারী কেনি হ্যারিসনকে। ১২.৫২ সেকেন্ড সময় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হ্যারিসন জেতেন রৌপ্য পদক। আর জ্যামাইকার মেগান ট্যাপার ব্রোঞ্জ জেতেন ১২.৫৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে।
পাঁচ বছর আগে রিও অলিম্পিকসে হার্ডলসের সেমিফাইনালে শেষ হার্ডল টপকাতে গিয়ে পড়ে যান কামাচো-কুইন। ফাইনালে খেলা হয়নি তার। কান্নাভেজা চোখে বিদায় নিতে হয়েছিল আসর থেকে।
পরের অলিম্পিকসেই নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন তিনি। রিওর হতাশা কাটিয়ে টোকিওতে জিতে নিলেন স্বর্ণ।
রিওর স্মৃতি তাকে তাড়া করেছে টোকিওতেও জানান কামাচো-কুইন। রেস শেষে সাংবাদিকদের বলেন এবারে ট্র্যাকে নামার আগেও তার মাথায় রিওর ওই ঘটনা ঘুরছিল।
তিনি বলেন, ‘আমাকে কেউ না কেউ মেসেজ পাঠাতেই থাকে যে ‘রিওতে যা হয়েছে সেটার জন্য সমবেদনা’। আমি মনে মনে বলছি ‘এটা সবাইকে ভুলে যেতে হবে’। গতকাল সেমির আগে আবারও তেমনটা (রিও অলিম্পিকসের মতো) হয় কিনা সেটা ভেবে ভেঙ্গে পড়েছিলাম।’
ফাইনালের চেয়ে সেমিফাইনালে দ্রুত দৌঁড়েছেন কামাচো-কুইন। সেমিতে ভেঙেছেন অলিম্পিকস রেকর্ড। ফাইনালেও প্রাধান্য রেখে দৌঁড়ান তিনি। ৩০ মিটারের পর হ্যারিসনকে পেছনে ফেলেন এই পুয়ের্তো রিকান।
রেস জেতার পর নিজের প্রশিক্ষক ও দলকে ধন্যবাদ জানান কামাচো-কুইন। জানালেন স্বর্ণ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই টোকিওতে এসেছিলেন এবার।
তিনি বলেন, ‘এই বছর আমি কঠোর অনুশীলন করেছি। আমি চাচ্ছিলাম যেন জিততে পারি। একজন অলিম্পিকস স্বর্ণজয়ী হতে চেয়েছিলাম। নিজের মধ্যে সেই বিশ্বাস্টা ঢোকাতে চেয়েছি। শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছি।’