
মাত্র ১৪ বছর বয়সেই ইতিকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলো পরিবার। কিন্তু ওই বয়সে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না ইতি। তার স্বপ্ন ছিল বড় হওয়ার। তাই বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে চলে গিয়েছিলেন আর্চারি ফেডারেশনের ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায়। সেই মেয়েটিই চলতি এসএ গেমসে দেশকে স্বর্ণ এনে দিয়েছেন।
বাড়িতে যখন বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল, তখন বিদ্রোহ ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গার মেয়ে ইতি খাতুন। তারপর শুধু বিজয়ের গল্প। আজ নেপালে চলমান দক্ষিণ এশীয় গেমসের আর্চারির মেয়েদের রিকার্ভ দলগত ও মিশ্র দলগত ইভেন্টে জোড়া স্বর্ণপদক জিতে নিয়েছেন তিনি।
নেপালের পোখারায় রবিবার মেয়েদের রিকার্ভ দলগত ইভেন্টে ভুটানের বিপক্ষে ৬-০ সেট পয়েন্টে জিতে মেয়েরা। পরে রিকার্ভ মিশ্র ইভেন্টে রোমান সানার সঙ্গে ভুটানকে ৬-২ সেট পয়েন্টে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেন ইতি।
ইতির এই সিনেমাটিক জীবনকাহিনীর পেছনে অবদান রয়েছে আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপলের। তার প্রচেষ্টাতেই ইতির আর্চার হয়ে ওঠা। চুয়াডাঙ্গার ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায় কোচদের নজরে আসেন। এরপর তো ইতিহাসই গড়লেন ইতি।