বিপিএলের প্রথম পর্বে দেশি ব্যাটসম্যানদের দাপট

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৩৮

শেষ হলো বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম পর্ব। তিন শহরে পাঁচভাগে হচ্ছে এবারের বিপিএল। চট্টগ্রাম ও সিলেটে এক পর্ব করে হলেও ঢাকায় হবে তিন রাউন্ড। আসুন জেনে নেয়া যাক কেমন হলো ঢাকার প্রথম পর্ব?
দেশীয় ব্যাটসম্যানদের পারফর্মেন্স মন ভরালেও, মোস্তাফিজ-রুবেল হোসেনদের ছন্দহীন বোলিং দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। উইকেট আর ব্রডকাস্টের মান প্রশংসা কুড়ালেও ক্রিশমার স্যান্টাকির নো বল কাণ্ড, দর্শক খরা আর বিসিবির দল হয়েও নিয়মভঙের মতো ঘটনা সামলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আগের ছয় আসরে উইকেট, নিম্নমানের ব্রডকাস্ট ও ভুলে ভরা গ্রাফিক্স নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। মাঠে ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, ব্রডকাস্টের মান ও গ্রাফিক্সও উন্নত। উইকেট নিয়েও সন্তুষ্ট ক্রিকেটাররা।
দেশি ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে রান প্রথম পর্বের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক। ৩ ম্যাচে ১১৭ রান নিয়ে এখন পর্যন্ত সবার উপরে ইমরুল কায়েস। সর্বোচ্চ ৬১। সমান ম্যাচে সমান রান নিয়ে দুইয়ে চ্যাডউইক ওয়াল্টন। দুজনই চট্টগ্রামের ক্রিকেটার। ১১২ রান নিয়ে তিন নম্বরে মোহাম্মদ মিঠুন। বিপিএল দিয়ে রানে ফেরা তামিম ইকবাল চারে। আর পাঁচ নম্বরে মোসাদ্দেক হোসেন।
তবে সে তুলনায় জাতীয় দলের বোলারদের পারফর্মেন্স নিম্নমুখী। ৩ ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে শীর্ষে থিসারা পেরেরা। এক ম্যাচ ও এক উইকেট কম নিয়ে দুইয়ে অলোক কাপালি। পরের স্থানগুলোতে সৌম্য সরকার, লুইস গ্রেগরি ও ফরহাদ রেজা।
তবে সমালোচনা ছাড়া বিপিএল যেনো অসম্ভব। উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেটের ক্যারিবিয় পেসার ক্রিসমার সান্তোকির বিশাল নো বল সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। টুর্ণামেন্টের আগে রংপুর রাইডার্সের টিম ডিরেক্টর পরিবর্তনও আলোচনার জন্ম দেয়।
বিপিএলের আগে প্রত্যেক দলের একাদশে একজন লেগ স্পিনার ও ১৪০ কিলোমিটার গতির পেসার রাখা বাধ্যতামূলক করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। জাতীয় লিগে একই অপরাধে দুই দলের কোচ বরখাস্ত করা হলেও বিসিবির দল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অতিরিক্ত টিকেট মূল্য আর দর্শকখরাও প্রথম পর্বের রং কমিয়েছে।