
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এখন পর্যন্ত জয়ের দেখা পায়নি সিলেট থান্ডার। এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচের সবগুলোতেই হারের মুখ দেখলো দলটি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে সিলেট হেরেছে ৪ উইকেটের ব্যবধানে।
টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথমে ব্যাট করে ১২৯ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট।
রান তাড়ায় মাত্র ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারায় চটগ্রাম। আভিষ্কা, কায়েস, রিয়াদ আউট হন যথাক্রমে ৫, ৬ ও ২ রানে। এরপর ৯ রান করে ওয়াল্টন বিদায় নিলে বিপদ বাড়ে চট্টগ্রামের। তখন দলের হাল ধরেন লেন্ডল সিমন্স ও নুরুল হাসান সোহান। দুজনে মিলে গড়েন ২৮ রানের জুটি।
সোহানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৪৪ করে রান আউট হন সিমন্স। এর পরপরই কোনো রান না করে সাজঘরে ফেরেন মুক্তার আলী। ম্যাচ জিততে তখনো চট্টগ্রামের প্রয়োজন ছিল ৪৫ রান।
তবে কেসরিক উইলিয়ামসকে নিয়ে বাকি পথ ভালোভাবেই পাড়ি দেন সোহান। ম্যাচের ১২ বল বাকি থাকতে চট্টগ্রাম জয় তুলে নেয় ৪ উইকেটে। সোহান ৩৭ ও কেসরিক ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সিলেটের হয়ে ৩ উইকেট নেন ক্রিসমার সান্তোকি। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন দেলোয়ার হোসেন ও এবাদত হোসেন।
এর আগে চট্টগ্রামের বোলাররা দিনের শুরুতেই বল হাতে চেপে ধরে সিলেটের ব্যাটসম্যানদের। দলীয় ২৩ রানের মাঝেই সাজঘরে ফিরে যান রনি তালুকদার ও শফিকুল্লাহ। আন্দ্রে ফ্লেচার ও মিথুন প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। তবে ফ্লেচারের বিদায়ের পরই ভেঙ্গে পড়ে সিলেটের ইনিংস।
দলীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন ফ্লেচার। এরপর ব্যাট হাতে যেটুকু লড়েছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। তিনি করেন ৩০ রান। আর কেউ সেভাবে অবদান রাখতে না পারায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ১২৯ রান পর্যন্ত যেতে পারে সৈকতের দল।
চট্টগ্রামের হয়ে বল হাতে ৪ উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা। এছাড়া রুবেল দুটি, কেসরিক উইলিয়ামস ও মুক্তার আলী একটি করে উইকেট নেন।