এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার আশা দেখালেন মারুফ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২১, ১৮:০৪

উজবেকিস্তানের সফর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন মারুফুল হক
দেশের ফুটবলে অন্যতম সেরা কোচ মারুফুল হক। কোচিং লাইসেন্সে দক্ষিণ এশিয়ারও শীর্ষদের একজন। ২০১৫ সালের জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। ছয় বছর পর আবার জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তবে এবার সিনিয়র জাতীয় দল নয় অনূর্ধ্ব ২৩ দল। সেই দল নিয়ে আগামীকাল ভোরে উজবেকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন মারুফ।
অনূর্ধ্ব ২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে উজবেকিস্তান, কুয়েত ও সৌদি আরবের মতো দল। তিন দলই শক্তিসামর্থ্যে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে। এরপরও মারুফের চোখ মূল পর্বেই, ‘আমরা মূল পর্বে খেলতে চাই সেটা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন অথবা সেরা রানার্স আপের মধ্যে থেকে হলেও।’ বাছাইয়ে ১১ গ্রুপ। প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল ও সেরা চার রানার্স আপ মূল পর্বে খেলবে। সাথে স্বাগতিক উজবেকিস্তান। উজবেকিস্তান যদি সেরা ১৫ এর মধ্যে থাকে সেক্ষেত্রে সেরা পঞ্চম রানার্স আপও চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পাবে।
মারুফ উজবেকিস্তানের চেয়ে কুয়েত ও সৌদি ম্যাচ নিয়ে বেশি মনোযোগী, ‘উজবেকিস্তান স্বাগতিক দল তারা সরাসরিই খেলবে। আমি বাকি দুই ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট নিতে চাই।’
কুয়েতের সঙ্গে বছর আটেক আগে একটি ম্যাচে জয়ের রেকর্ড আছে। সৌদি আরবের সঙ্গে এই পর্যায়ে কোনো পয়েন্ট পাওয়ার ঘটনা নেই বাংলাদেশের। এরপরও মারুফ চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন, ‘এই গ্রুপিংটা হয়েছে কয়েক মাস আগে। সেই গ্রুপিংয়ের সময় আমার ইচ্ছে ছিল এই দলটাকে দুই তিন মাস নিয়ে কাজ করতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব। এক মাসের মতো পেয়েছি। ভালো ও উন্নত দলের সঙ্গে খেলেই নিজেদের প্রমাণ করতে হয়। আমি সেই চ্যালেঞ্জটাই নিয়েছি।’
জাতীয় দল থেকে অলিম্পিক দলের দায়িত্বে কেন? গত এক মাস যাবৎ মারুফকে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে কয়েকবার। আজ সংবাদ সম্মেলনে এর উত্তর দিয়েছেন, ‘একজন কোচের কাছে দলই আসল। সেটা ক্লাব, জাতীয় দল, বয়সভিত্তিক দল... যাই হোক না কেন। আমি সেটা ভেবেই দায়িত্ব নিয়েছি।’
অনূর্ধ্ব ২৩ এর নিচে থাকা জাতীয় দলের ছয় জন ফুটবলার পাচ্ছেন মারুফ। তিন পরীক্ষিত ফুটবলার তারিক কাজী, বিশ্বনাথ ঘোষ ও বিপলুকে পাচ্ছেন না মারুফ। এদেরকে মিস করবেন সরাসরি জানিয়ই দিলেন, ‘তিনজনই গুরুত্বপূর্ণ কারণে দলের সঙ্গে নেই। তাদের বিকল্প রয়েছে। তবে সেই বিকল্প তাদের শূন্যস্থানের পুরোটা পূরণ করতে পারবে না, এটাই বাস্তবতা। এটা মেনেই আমাদের চলতে হবে।’
মারুফের চূড়ান্ত দলে সুযোগ পেয়েছেন ইংল্যান্ড প্রবাসী ইউসুফ জুলকারনাইন। এক সপ্তাহের মতো তাকে অনুশীলন করিয়েছেন মারুফ। এই এক সপ্তাহে তার সম্পর্কে মারুফের পর্যবেক্ষণ, ‘সে টেকনিক্যালি সাউন্ড। ট্যাকটিকালি ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। ক্রমেই সে দলের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে।’
অনূর্ধ্ব ২৩ দলের অধিনায়কের বাহুবন্ধনী পরবেন ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা। তার সহকারী হিসেবে থাকবেন রহমত মিয়া। জাতীয় দলের মতো এই সফরেও ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপু।