
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনকে ১৬ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শুরুতে ব্যাট করে এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ ২২১ রান করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ২০৫ রানে থামে ঢাকার ইনিংস।
২২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৮ রানেই আনামুলকে হারায় ঢাকা। তবে এরপরই ম্যাচে ফেরে দলটি। জাকের আলী ও মমিনুল হক শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ। ২৭ রানে জাকের ফিরলে ভাঙ্গে ৫২ রানের জুটি। এরপর লরি ইভান্স আউট হন ১৭ করে।
আসিফ আলী ও শহীদ আফ্রিদী ফেরেন যথাক্রমে ১৫ ও ৯ রানে। এরপর মমিনুল ফেরেন ৫২ রান করে। এরপর ক্যাপ্টেন মাশরাফির ৬ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে আশা জাগে ঢাকার।
শেষ ওভারে ১ উইকেট হাতে রেখে ঢাকার প্রয়োজন ছিল ২১ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন পেরেরা। ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ৪৭ রান করেন এই লঙ্কান খেলোয়াড়।
এর আগে সন্ধ্যায় টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফি।
দুই ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্ডো ও লেন্ডল সিমন্সের ব্যাটে পাঁচ ওভার না পেরোতেই আসে পঞ্চাশ রান। তবে এরপরই আভিস্কা ফেরেন ২৬ রানে।
উইকেট হারালেও আক্রমণের ধার কমেনি চট্টগ্রামের। এবার সিমন্স আর ইমরুল কায়েস মিলে ঝড় তোলেন। দুজন মিলে গড়েন ৫০ রানের জুটি। তবে আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিমন্স। এর আগে ৫৭ রান করেন তিনি।
সিমন্সের জায়গায় নেমে তাকে ছাড়িয়ে যান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাত্র ২৮ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এর আগে কায়েস ২৪ বলে ৪০ রান করে থামেন।
শেষ দিকে চ্যাডউইক ওয়ালটনের মিনি ক্যামিওতে ২২১ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস। এই ক্যারিবিয়ান অপরাজিত ছিলে ২৭ রানে।
ঢাকার হয়ে ২ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। একজনকে শিকার করেন সালাউদ্দিন শাকিল।