
ফাইল ছবি
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় আজ রবিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ৪টায়।
এ ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো শারজাতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
লঙ্কা বধের মিশনে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে একবেলা অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। আর এই মিশনেও বাংলাদেশ নজর রাখছে পাওয়ার প্লের পারফরম্যান্সে।
গত বৃহস্পতিবার ওমানের মাসকটে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে খেলে শুক্রবার বিকালে দুবাইয়ে পৌঁছে বাংলাদেশ দল। ভ্রমণ ক্লান্তির কারণে সেদিন আর অনুশীলন করেননি ক্রিকেটাররা। গতকাল শনিবার (২৩ অক্টোবর) একবেলা অনুশীলন করেই লঙ্কা বধের প্রস্তুতি সেরেছেন সাকিব-মুশফিকরা।
বিশ্বকাপের ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ। যদিও ওই ম্যাচে ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ, সাকিব ও মোস্তাফিজ। সুপার টুয়েলভের লড়াইয়ে পুরো দলকেই পাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে টানা দুই ম্যাচ জেতায় আত্মবিশ্বাসের পালে হাওয়া লাগছে বেশ জোরেশোরেই।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কণ্ঠও বেশ আত্মবিশ্বাসী শোনালো। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রত্যেক বিভাগে সবসময় উন্নতি করার সুযোগ আছে। আমরা জানি ব্যাট হাতে শুরুতে, মাঝে ও ডেথ ওভারে আমরা ঠিকভাবে খেলতে পারিনি। কিন্তু বল হাতে আমরা যেভাবে খেলেছি, তাতে আমরা খুব খুশি। মাঠেও আমরা দারুণ করেছি।
এদিকে সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের সবগুলো ম্যাচই পড়েছে দিনের বেলা। সূচির এই ভারসাম্যহীনতা এই নিয়ে এরমধ্যেই আলোচনা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ এতে দেখছে সুবিধাই। কোচ ডমিঙ্গো মনে করছেন, দিনের বেলা খেলা হওয়ায় শিশিরের কথা মাথায় আনতে হবে না। স্পিনাররা রাখতে পারবেন বড় ভূমিকা।
অপরদিকে সুপার টুয়েলভ শুরুর আগেই ধাক্কা খেল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইনজুরির কারণে মহেশ থিকসানাকে দলে পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা। সাইড স্ট্রেইন ইনজুরির কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন রহস্যময় স্পিনার থিকসানা।
শারজহতে সর্বমোট পাঁচটি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। পাঁচটিই হেরেছে। ১৯৯০ সালে শারজহতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামে টাইগাররা। অস্ট্রাল-এশিয়া কাপের নামে ওই টুর্নামেন্টের চতুর্র্থ ও ষষ্ঠ ম্যাচ খেলেছিলো বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৬১ রানে ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭ উইকেটে হারে বাংলাদেশ।
এরপর ১৯৯৫ সালে শারজাতে পেপসি এশিয়া কাপে আরও তিনটি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। ভারতের কাছে ৯ উইকেটে, শ্রীলংকার কাছে ১০৭ রানে এবং পাকিস্তানের কাছে ৬ উইকেটে ম্যাচ হারে টাইগাররা।
১৯৯৫ সালের পর শারজাতে কোনও ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। ২৬ বছর পর আবারো এ ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামছে টাইগাররা। এই ভেন্যুতে এ পর্যন্ত টেস্টও খেলেনি বাংলাদেশ।
শারজার উইকেট মিরপুরের উইকেটের মতোই বলে মনে করছেন ডমিঙ্গো। ততটা স্পিন ধরলে সাকিব-মেহেদি হাসান ও সুযোগ পেলে নাসুম আহমেদ কী করতে পারেন, তা জানা আছে বাংলাদেশ কোচের। লঙ্কান স্পিনারদেরও এমন উইকেটে ভালো না করার কোনো কারণ নেই। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তারা সেটা করেও দেখিয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কার বোলারদের নিয়ে অতটা ভাবছে না বাংলাদেশ। ডমিঙ্গোর ভাবনা নিজের দলকে নিয়েই।