সিলেটে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভালো করলেও ৪৬ রানের বেশি করতে পারলেন না। এর আগে প্রথম রাউন্ডেও হাসেনি তার ব্যাট। এক ইনিংস ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে করেছিলেন ৩৩ রান। মিঠুনের পাশাপাশি রান পাননি তুষার ইমরানও। ১২ হাজার রানের অপেক্ষায় থাকা এ ব্যাটসম্যান করেন ২১ রান।
জিয়াউর রহমানের ৪৭ ও নাহিদুলের ৪৮ রানের সুবাদে খুলনা বিভাগ সিলেট বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে করে ১৭৮ রান। এর আগে প্রথম ইনিংসে তারা ২৪ রানের লিড পেয়েছিল। ২০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭২ রান তুলতে ৩ উইকেট হারায় সিলেট। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আরো ৯১ রান। খুলনার দরকার ৭ উইকেট।
বুধবার শেষ দিনে যে রোমাঞ্চ অপেক্ষা করছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনাকে ধসিয়ে দেন পেসার রেজাউর রহমান রাজা। ৫১ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন তিনি। লিগের প্রথম পেসার হিসেবে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন তিনি।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিযারে দ্বিতীয়বার এমন কিছুর স্বাদ পেলেন সিলেটের পেসার রাজা। এছাড়া তানজিম হাসান সাকিব ও এনামুল হক জুনিয়র ২টি করে উইকেট পেয়েছেন।
তবে সিলেটের ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব সামলাতে পারছেন না। সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই পেসার আল-আমিনের বলে আউট হন ইমতিয়াজ (০) ও গালিব (২৯)। মিরাজ বোলিংয়ে এসে টিকতে দেননি ৪১ রান করা অমিত হাসানকে। চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধেছেন জাকির হাসান ও জাকের আলী অনিক। জাকির ৩৭ রান ও অনিক ৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। তাদের ব্যাটে সিলেট জয় তুলে নিতে পারে কি না দেখা যাক।