
কুইন্টন ডি কক
বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে ম্যাচের আগ মুহূর্তে কুইন্টন ডি ককের নিজেকে সরিয়ে নেয়া নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুললেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিপার-ব্যাটসম্যান। সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে পরিস্কার করলেন নিজের অবস্থান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা পাঁচেক আগে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড থেকে নির্দেশনা আসে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব ম্যাচের আগেই বাধ্যতামূলভাবে দলের সবাইকে হাঁটু গেড়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে সংহতি জানাতে হবে। টিম বাসে ওঠার সময় সবাইকে সেটি জানানো হয়। ডি কক তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, তিনি এই প্রক্রিয়া আর এই ম্যাচে থাকবেন না।
টসের সময় সবাইকে অবাক করে দিয়ে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা জানান, ব্যক্তিগত কারণে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে খেলছেন না ডি কক। ক্রিকেট দুনিয়ায় যেন বিস্ফোরণ হয়। পরে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড জানায় পেছনের কারণ।
দুইদিন পর বৃহস্পতিবার বিশাল এক বিবৃতি দিয়ে ডি কক তুলে ধরেন তার এমন সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ। সামনে এই নিয়ম মানতে আপত্তি নেই বলেও জানান তিনি।
ডি কক বলেন, ‘আমি আমার সতীর্থ ও সমর্থকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে শুরু করতে চাই। আমি কখনোই এটিকে ব্যক্তিগত বিষয় বানাতে চাইনি। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার গুরুত্ব আমি বুঝতে পারি এবং খেলোয়াড় হিসেবে উদাহরণ সৃষ্টি করার দায়িত্ববোধও অনুধাবন করতে পারি।’
বিশ্বকাপের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে দলের সবাই যেখানে হাঁটু গেড়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন জানান, সেখানে নিজেকে সরিয়ে রাখেন ডি কক। পরে এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে।
সামনের ম্যাচ থেকে প্রতিবাদে অংশ নেবেন বলে জানান ডি কক।
তিনি বলেন, ‘আমার হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদে যদি অন্যরা এ ব্যাপারে শিক্ষা পায়, জীবন নিয়ে উপলব্ধি তাদের আরও ভালো হয়, তবে আমি স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই এই প্রতিবাদে অংশ নেব।’
৩০ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচটি খেলতে নামবে সাউথ আফ্রিকা।