
বাংলাদেশে দ্বিতীয় বারের মতো এশিয়ান আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক হতে যাচ্ছে। বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসর।
বাংলাদেশ দল অনুশীলন করে টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে। টুর্নামেন্ট ভেন্যুর সাথে মানিয়ে নিতে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন রোমান সানারা।
ভেন্যু সম্পর্কে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, ‘টঙ্গী স্টেডিয়ামে বেশি দলের অংশগ্রহণে টুর্নামেন্ট আয়োজন কষ্টসাধ্য৷ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও সেখানে সংস্কার চলছে। এজন্য বনানীর আর্মি স্টেডিয়াম বেছে নেয়া।’
২০১৭ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ আয়োজক হিসেবে দারুণ প্রশংসা কুড়োলেও পদকের তালিকায় সুখকর কিছু ছিল না। আসন্ন চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের পদকের সম্ভাবনার ব্যাপারে চপল বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে দক্ষিণ কোরিয়া। কোরিয়ার সাথে পদকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বাংলাদেশ।’
১৭ দেশ নিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথা থাকলেও কাতার শেষ মুহূর্তে আসতে পারছে না৷ আরো দুই একটি দেশ শেষ দিকে না আসার ইঙ্গিত দিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, ‘করোনার জন্য কোভিড প্রটোকল আমাদের মানতে হচ্ছে। অনেক দেশ করোনা ইস্যু, সরকারের অনুমতির জন্য এখনো অপেক্ষা করছে। আমরা গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে আগত সকল দেশের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসার ব্যবস্থা করেছি।’
বিশ্ব মানের আরচ্যাররা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নেবে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক, ‘অলিম্পিকে পদক জেতা অনেক আরচ্যারই আসবেন এখানে।’
আরচ্যারির অন্যান্য প্রতিযোগিতার মতো এই আসরও পৃষ্ঠপোষক তীর গ্রুপ। আরচ্যারি ফেডারেশনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ধারা আরো অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তীর গ্রুপের কর্মকর্তারা৷ এই চ্যাম্পিয়নশিপের হসপিটালিটি পার্টনার হোটেল শেরাটন। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) মাইনুল ইসলাম।