হারলে বিদায়, জিতলেও সেমিফাইনালের টিকিট পেতে মিলতে হবে নেট রান রেটের জটিল সমীকরণ। এমন পরিস্থিতিতে সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১৮৯ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে সাউথ আফ্রিকা।
শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। এখন বাকি কাজ বোলারদের। যদি ইংল্যান্ডকে ১৩১ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারে, তাহলে অস্ট্রেলিয়াকে টপকে সেরা চারের টিকিট পাবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
গ্রুপ-১'এ এখন পর্যন্ত সমান ৮ পয়েন্ট করে রয়েছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার। নেট রান রেটে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় খানিক স্বস্তিতে রয়েছে ইংল্যান্ড। আজ তারা হারলে দক্ষিণ আফ্রিকারও হবে সমান ৮ পয়েন্ট। তখন নেট রান রেটের ভিত্তিতে হবে সেরা দুই দল বাছাই।
এমতাবস্থায় টানা চার ম্যাচ জিতেও আসলে সেমিফাইনাল পুরোপুরি নিশ্চিত নয় ইংল্যান্ডের। তারা যদি ৮০ রানের কম করে তাহলে নেট রান রেটের হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার পেছনে পড়ে যাবে এবং বিদায় নিতে হবে বিশ্বকাপ থেকে।
ম্যাচটিতে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল ইংল্যান্ড। যেখানে রসি ফন ডার ডুসেনের ৯৪ ও এইডেন মার্করামের ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ১৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে প্রোটিয়ারা। চলতি বিশ্বকাপে এই প্রথম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো দল দেড়শ রানের বেশি করতে পারলো।
শুধু তাই নয়, ডুসেনের ৯৪ ও মারক্রামের ৫২ রানের ইনিংসটি চলতি বিশ্বকাপে ইংলিশদের বিপক্ষে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের প্রথম ও দ্বিতীয় নজির। এ দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাত্র ৮.৪ ওভারে যোগ করেছেন ১০৩ রান।
শেষ দিকে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ডুসেন। কিন্তু তাকে থামতে হয়েছে ৯৪ রানে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে উইকেটে এসে শেষ পর্যন্ত খেলে ৫ চার ও ৬ ছয়ের মারে ৬০ বলে ৯৪ রান করেছেন তিনি। যা কি না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড।
অন্যদিকে ১২তম ওভারে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন মারক্রাম। মাত্র ২৪ বলে পঞ্চাশ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ৪ ছয়ের মারে ২৫ বলে ৫২ রানের সাইক্লোন ইনিংস। তার এই ব্যাটিংয়ের সুবাদেই মূলত শেষ ছয় ওভারে ৭৫ রান যোগ করে প্রোটিয়ারা।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার শুরুটা তেমন ভালো করতে পারেননি। রেজা হেন্ডরিকস ৮ বলে ২ ও কুইন্টন ডি কক করেছেন ২৭ বলে ৩৪ রান। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে মাত্র ৪০ রান পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে ডুসেন-মারক্রামই এনে দিয়েছেন বড় সংগ্রহ।