
রায়ান কুক
২০১৮ সালের জুলাইতে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে যোগদেন রায়ান কুক। দীর্ঘ তিন বছরের অধিক সময় দায়িত্ব পালন কালে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের মধ্যে বড় রকমের কোনো পরিবর্তন আনতে দেখা যায়নি তাঁকে। ব্যর্থতার চাদরেই ঢাকা ছিল বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে কুকের অধ্যায়। যার চূড়ান্ত প্রতিফলন দেখা গেছে বাংলাদেশ দলের এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে সাতটি ক্যাচ ফেলেছে বাংলাদেশ। মাঠের ফিল্ডিংও ছিলো যাচ্ছে তাই। এ কারণেই রায়ান কুকের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আসন্ন পাকিস্তান সিরিজে নতুন কোনো দেশি ফিল্ডিং কোচের সন্ধানে নেমেছে বিসিবি।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘আমাদের যে ফিল্ডিং কোচ তাকে আমরা পাচ্ছি না। তার জায়গায় দেশি কোনো কোচ দিচ্ছি আমরা। এটা নিয়ে আগামী মঙ্গলবার আমরা চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেব। ফিল্ডিং কোচের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে আছে, সে এখন আসছে না। তার চুক্তি সম্ভবত নবায়ন হবে না। মানে তাকে আমরা চুক্তি নবায়ন করাচ্ছি না, এজন্য আমরা তাকে এই সিরিজে রাখছি না।’
দেশি কোনো অভিজ্ঞ কোচের মাধ্যমে পাকিস্তান সিরিজ শেষ করলেও মাসখানেকের মধ্যেই বিদেশি কোনো ফিল্ডিং কোচ আনার পরিকল্পনা করেছে বিসিবি।
এ নিয়ে সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘এখানে বেশ কিছু কোচের নাম আছে। দেশি.. যারা অভিজ্ঞ। এর সাথে উচ্চ পর্যায়ের কারো নাম আমরা দেখছি। আশা করছি, মাসখানেকের মধ্যে আমরা পেয়ে যাব।’
কোচ হিসেবে আন্তর্জাতিক আঙিনায় কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না কুকের। বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয়ার আগে কেপটাউনে গ্যারি কারস্টেন ক্রিকেট একাডেমির প্রধান কোচ ও পারফরম্যান্স ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। কারস্টেনের একাডেমি ছাড়াও বিগ ব্যাশের দল হোবার্ট হারিকেন্সের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন কুক। সহকারী কোচ ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের।