গোল করার পর উচ্ছ্বাসিত সাইফের খেলোয়াড়রা
স্বাধীনতা কাপে চমক দেখাল স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালি সাইফ স্পোর্টিংকে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্যভাবে রুখে দিয়েছিল। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে সাইফ স্পোর্টিং দুই গোল করে স্বাধীনতা সংঘকে বিদায় করে নিজেদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) আর্জেন্টাইন কোচ দিয়েগো আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানীর সাইফ স্পোর্টিং ম্যাচের শুরু থেকে গোলের চেষ্টা করে। নাইজেরিয়ান এমফোন বক্সের আশেপাশে ছিলেন সব সময়। তার বাড়ানো বল, ক্রস সতীর্থরা কাজে লাগাতে পারেনি। বিশেষ করে সাইফের দুই উঠতি তারকা ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও মারাজ হোসেন অনেক গোলের সুযোগ মিস করেছেন।
স্বাধীনতা সংঘ দুই গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি ছাড়া খেলায় কিছুটা রক্ষণাত্মকই খেলেছে। রক্ষণাত্মক খেললেও বল পজেশনে সাইফের সঙ্গে ভালোই পাল্লা দিয়েছে। দুই দলের কেউই ৯০ মিনিটের মধ্যে গোল করতে না পারায় অতিরিক্ত সময় গড়ায়।
অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই সাইফ লিড নেয়। প্রথম মিনিটে বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রস করেন বদলি ফুটবলার নিহাত জামান উচ্ছ্বাস। সেই ক্রসে হেডে গোল করেন মারাজ। মারাজের এই গোলের নয় মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফাহিম। বক্সের মধ্যে একটি স্কয়ার পাস পান। স্বাধীনতার গোলরক্ষক বলটি ধরতে পারেননি। ফাঁকা পোস্টে গোল করতে সমস্যা হয়নি ফাহিমের।
সাইফ স্পোর্টিংয়ের সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ ঢাকা আবাহনী। ১৪ ডিসেম্বর প্রথম সেমিফাইনাল। আগামীকাল স্বাধীনতা কাপের বিরতি। ১২ ডিসেম্বর দুইটি কোয়ার্টার ফাইনাল। স্বাধীনতা টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার থেকে বিদায় নিলেও লিগের জন্য আগমনী বার্তা দিয়ে রাখল।