
জয়ের পর উচ্ছ্বাসিত আবাহনীর খেলোয়াড়রা
সবশেষ ম্যাচে জোড়া গোল করে আবাহনী লিমিটেডের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন দানিয়েল কলিনদ্রেস। ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স অব্যাহত রাখলেন সেমিফাইনালেও। নিজে গোল করার পাশাপাশি বানিয়েও দিয়েছেন। তাতে প্রথম সেমিফাইনালে সাইফ স্পোর্টিংকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। এই জয়ে ২০১৬ সালের পর আবারও তারা স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব দেখালো।
ম্যাচটি আবাহনীর জন্য মোটেও সহজ ছিল না। প্রতিপক্ষ সাইফের বিপক্ষে জিততে বেগ পেতে হয়েছে। সাইফের খেলোয়াড়দের গতি ও ফিটনেসের সঙ্গে পুরো ৯০ মিনিট লড়াই করতে হয়েছে। রাফায়েল অগাস্তোর পায়ে বল পড়লেই তাকে ঘিরে ধরেছেন একাধিক খেলোয়াড়! তার ওপর ব্রাজিলিয়ান দোরিয়েন্তন চোটের কারণে এই ম্যাচে ছিলেন না। তার বদলে নেমে নাবীব নেওয়াজ জীবন খারাপও করেননি। তার পরেও আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দল গোলের দেখা পেতে যাচ্ছিল প্রথমেই। ১৪ মিনিটে নাইজেরিয়ান এমফন সানডে উদোহ বক্সের ভিতরে বল পেলেও ক্রসবারের ওপর দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেছেন।
তবে ২৫ মিনিটে আবাহনী কোনও ভুল করেনি। বক্সে ঢোকার আগে রাকিব হোসেনকে ফেলে দিয়েছিলেন সাদ্দাম হোসেন অ্যানি। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে ফ্রি-কিকে লক্ষ্যভেদ করেন কলিনদ্রেস। কোস্টারিকার এই ফরোয়ার্ডের জোরালো শট মানব দেয়াল ঘেঁষে জড়িয়ে যায় জালে। গোলকিপার মিতুল হাসান বলের লাইনে ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি।
ব্যবধান বাড়ানোর জন্য আবাহনী চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি। তবে ৩৮ মিনিটে কলিনদ্রেসের ফ্রি-কিকে নাবীব নেওয়াজ জীবন জোরালো হেড নিলেও তা দূরের পোস্ট দিয়ে চলে যায়। যোগ করা সময়ে সুযোগ নষ্ট করেন রাকিব। একাই ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল মেরে বসেন। অন্য প্রান্তে কলিনদ্রেসের কাছে বল দিলে গোল হলেও হতে পারতো।
বিরতির পর গোল শোধে সাইফ চেষ্টা করেও পারেনি। ৬৮ মিনিটে এমফন সানডের থ্রো-ইন থেকে বক্সের ভেতরে মেরাজ হোসেনের ফ্লিক সরাসরি জমা পড়ে গোলকিপারের গ্লাভসে। বিপরীতে আবাহনী ছিল সুযোগের অপেক্ষায়। ৭৪ মিনিটে ইমন বাবুর শট এক ডিফেন্ডার ব্লক না করলে তখনই ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। শেষ পর্যন্ত ৮২ মিনিটে সফল হয় আবাহনী। গোলের জোগানদাতা সেই কলিনদ্রেস। বক্সের একটু বাইরে থেকে কোস্টারিকান ফরোয়ার্ডের ফ্রি-কিকে নাবীব নেওয়াজ জীবন টোকা মেরে লক্ষ্যভেদ করেন। তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় আবাহনীর ফাইনালের টিকিট।